প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪, ২:১০ অপরাহ্ন
খাগড়াছড়ির আলুটিলার সাপমারা এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনায় বন্ধ হয়ে পড়া সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে পাহাড়ধসে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার ঘণ্টাখানেক পর সড়কে ফের যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
আটকেপড়া যাত্রীরা জানান, ভোরে সাপমারা এলাকায় পাহাড়ের মাটি ধসে যাওয়ায় পর এক ঘণ্টার বেশি সময় যান চলাচল বন্ধ ছিল। সড়কের মাটি সরানোর কাজ শেষ করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এরপর সড়কে গাড়ি চলাচল শুরু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভোরে সাপাহার এলাকায় হঠাৎ করে সড়কের ওপর পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে। এতে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়ক তলিয়ে গেছে। এ কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে জেলায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়। সড়কে পানি জমে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বৃষ্টির পানিতে সকাল থেকে মহালছড়ির চব্বিশ মাইল সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া, দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেডকোয়াটার এলাকায় সড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। এ কারণে রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গেও খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পাহাড়ি ঢলে সাজেক -খাগড়াছড়ি সড়কের বাঘাইহাট বাজার ,মাচালং বাজারসহ একাধিক স্থানে সড়কের ওপরে পানি উঠে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পর্যটকবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাজেকে আটকা পড়েছেন শতাধিক পর্যটক।
জেলার পাহাড়গুলোর পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে জেলা সদরের শালবন, মোহাম্মদপুর, সবুজবাগ ও কুমিল্লা টিলা এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন জনপ্রতিনিধিরা।
পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।