প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
বেলজিয়ামের বিপক্ষে ফ্রান্সের জয়টা অনুমিতই ছিল। বর্তমান সময়ে দুই দলের পারফরম্যান্স বিবেচনায় ২০২২ বিশ্বকাপের রানার্সআপ ফ্রান্স ছিল অনেকটাই এগিয়ে। মাঠের খেলাতেও সেটি করে দেখালো তারা। মুহুর্মুহু আক্রমণ করে ম্যাচের শেষার্ধে আত্মঘাতী গোলের সুবাদে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল ফ্রান্স।
ম্যাচে আক্রমণের শুরুটা করে ফ্রান্স। দ্বিতীয় মিনিটের মাথায় আদ্রিয়ান রাবিওর ভলি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাইরে চলে যায়। ১০ মিনিটের মাথায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে খেলা অ্যান্টোনিও গ্রিজম্যান বাইরে থেকে শট নিলে সেটি ভালোভাবেই তালুবন্দি করেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক কোয়েন কাস্তেলস।
১৮ মিনিটে ফ্রান্সের মার্কাস থুরামের হেড চলে যায় গোলবারের বাইরে দিয়ে। ২৭ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর ফ্রান্সের ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগলেও পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেননি রেফারি।
৩৪ মিনিটে জুলস কুন্ডের ক্রস থেকে থুরামের জোরালো হেড বাম গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। বল দখলে বেশ এগিয়ে থাকে ফ্রান্স। অন্যদিকে মিস পাসের মহড়া দিয়ে বসে বেলজিয়াম। ৪০ মিনিটে ফরাসি তারকা ওরিলিয়েন সুয়ামেনির দূরপাল্লার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে গোলশূন্য ড্র অবস্থাতেই শেষ হয় দুই দলের প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আবারো গোলের আক্রমণ করতে থাকে ফ্রান্স। ৪৯ মিনিটে সুয়ামেনির দূরপাল্লার শট রুখে দেন কাস্তেলস। ৫৬ মিনিটে গোলের সুযোগ পান এমবাপে। তার ডান পায়ের বাঁকানো শট গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়।
পুরো ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়ে খেলতে থাকে ফ্রান্স। বল একদমই পায়ে রাখতে পারছিল না বেলজিয়ামের ফুটবলাররা। ৭১ মিনিটে বেলজিয়ামের তারকা রোমেলু লুকাকুর বাঁ-পায়ের শট দারুণভাবে রুখে দেন ফরাসি গোলরক্ষক মাইক মাইনান। ৭৪ মিনিটে আর্সেনালের ফরাসি ডিফেন্ডার উইলিয়াম সালিবার ডি-বক্সের ভেতর থেকে করা বাঁ-পায়ের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাইরে চলে যায়।
৮৩ মিনিটে গোল করার সবচেয়ে সহজ সুযোগ পেয়েছিল বেলজিয়াম। ডি ব্রুইনার দূরপাল্লার শট বাঁ দিকে ঝুঁকে রুখে দেন ফরাসি গোলরক্ষ।
অবশেষ ৮৫ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে অচলাস্থা ভাঙে ফ্রান্স। কুলো মুয়ানির শট ভুলক্রমে বেলজিয়ামের ডিফেন্ডার ভার্টঙ্গেনের পায়ে লেগে জালে জড়ালে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। সেই এক গোলের ব্যবধানেই জয় নিয়ে কোয়ার্টারে পা রাখে ফ্রান্স।