প্রকাশ: শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪, ৫:১৪ অপরাহ্ন
ভোলা তজুমদ্দিন উপজেলায় বিভিন্ন বাজার কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। গেল কয়েকদিন ধরেই তজুমদ্দিন উপজেলার বৃহত্তম ছোট ডাওরী বাজারে কুরবানির পশুর হাটে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু, মহিষ, ছাগল আসতে শুরু করে।
একই চিত্র উপজেলার ছোট ডাওরী গরুর বাজারের মাঠের। প্রতিদিনই কুরবানি পশুর কেনাবেচায় ব্যস্ত ক্রেতা ও বিক্রেতারা ছোট ডাওরী নামের এই বাজারে বৃহত্তম কুরবানির পশুর হাট বসে পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে।
আজ শনিবার ছিলো ছোট ডাওরী বাজারের কোরবানি হাটের শেষ হাট। তাই দুপুরের পরই কোরবানির পশু দিয়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় এই হাট।এমনটা মন্তব্য করেন ক্রতা-বিক্রতারা। হাটে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের প্রচুর গরু উঠেছে, গরু খামারিদের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন গত বছরের তুলনা এই বছর গরুর দাম অনেকটাই কম, সামনে মাত্র একটি হাট থাকার কারনে অনেক খামারি সস্তা দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার শিবপুর খাসেরহাট বাজার অবস্থিত শিবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বসে কোরবানির পশুর হাট এটিও উপজেলার বৃহত্তম হাট হিসেবে পরিচিত। সপ্তাহে রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার হাটবারে গবাদিপশু কেনাবেচা হয়ে থাকে। তবে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রায় প্রতিদিনই হাটে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া কেনাবেচা চলছে।
অপরদিকে উপজেলার ফকিরহাট বাজার মাঠে শক্রবার বিকালে হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর কুরবানির পশুর আমদানি হয়েছে।মোটামুটি কেনাবেচা হয়েছে বলে, ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন।তবে হাটে দেশীয় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি ছিল। তাই এ জাতের গরুর দাম তুলনামূলক বেশি ছিল। হাটে সবচেয়ে বড় গরুর দাম হাঁকা হয়েছিল ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও হাটে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশি- বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির উন্নতমানের ছাগল।
অন্যদিকে, উপজেলার সদর শশীগঞ্জ বাজার,দখিন খাসের হাট বাজারসহ তজুমদ্দিনে সর্বত্র জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাটগুলো। ঈদ ঘনিয়ে আসার কারনে গত হাট গুলোর তুলনা কেনাবেচা কিছুটা বেড়েছে বলে জানান ইজারাদাররা।
মাসুদ নামে এক ক্রেতা দৈনিক জবাবদিহিকে জানান,তারা কোরবানির জন্য দেশি জাতের মাঝারি গরু কিনতে এসেছেন। কিন্তু বড় গরুর তুলনায় এ ধরনের গরুর দাম বেশি। তাই সামনে একটি মাত্র হাট থাকার কারনে অনেক ক্রতারা বেশি দামেই ক্রয় করতে হচ্ছে এবং অনেক ক্রেতাই ফিরে যাচ্ছেন; আগামী দিন উপজেলার অন্য কোনো হাটে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে হাটের ইজারাদার জানিয়েছেন, হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা যাতে প্রতারিত না হন সে জন্য মাইকে প্রচারণা চালানো হয়।
অপরদিকে হাটগুলোতে দেখা মিলছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্হা।পাশাপাশি উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা ও সেবাদানে ছুটে চলছেন এক বাজার থেকে আরেক বাজারে।
এছাড়া ও বিভিন্ন হাটগুলোতে বসানো হয়েছে জাল টাকা সনাক্তকারী মেশিন। অনেকটা উৎসবের আনন্দে ক্রেতা- বিক্রেতারা দরকষাকষি করছেন।