প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪, ১১:২৩ অপরাহ্ন
ভারতে গত ১৫ দিনের ব্যবধানে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে সরবরাহ কম এবং পবিত্র ঈদুল আজহার আগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার মধ্যে দেশটিতে পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুত করে রাখার কারণে এর প্রভাব বাজারে পড়েছে। তাদের প্রত্যাশা, কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে, সেগুলো শিথিল করা হবে।
দেশটির মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাসিকের লাসালগাঁওয় বাজারে সোমবার (১০ জুন) পাইকারি হারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৬ রুপিতে। গত ২৫ মে এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৭ রুপিতে। সবচেয়ে ভালো মানের পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ৩০ রুপি ছাড়িয়ে গেছে, যদিও এই মানের পেঁয়াজ খুব কম পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকার কারণেই মূলত পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। জুন মাস থেকে বাজারে যে পেঁয়াজ আসে, তা মূলত কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের মজুত থেকে সরবরাহ করেন। তবে কৃষকেরা পেঁয়াজ বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন, কারণ তারা মনে করছেন, ২০২৩-২৪ রবি মৌসুমে উৎপাদন কম হবে এবং পেঁয়াজের দাম বাড়বে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা। এতে করে পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজের অনেক চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলো থেকে।
ভারতের হর্টিকালচার প্রডিউস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজিত শাহ বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ হলো, কৃষক ও মজুতকারীরা আশা করছেন, সরকার সম্ভবত রপ্তানি শুল্ক প্রত্যাহার করবে। এ ধারণার ওপর ভিত্তি করে তারা পেঁয়াজ মজুত করছেন এবং আশা করছেন যে দাম আরও বাড়বে।