প্রকাশ: রোববার, ৯ জুন, ২০২৪, ৯:৩৮ অপরাহ্ন
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে গত দুইদিনের বৃষ্টির পানি জমে পথচারিসহ সকল যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সেই সাথে প্রতিদিন দূঘর্টনার শিকার হচ্ছেন পথচারি ও যানবাহন। গত এক সপ্তাহে ভেন ও অটোভেন উল্টে ৯ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদের মধ্যে একজনের পা ও অপর জনের হাত ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে রৌমারীসহ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। রাস্তা থেকে আশপাশের বাড়ি ভিটা উচু থাকায় বৃষ্টির পানি বের হতে পারে না। পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থাও গ্রহণ করেননি স্থানীয় প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিরা। উপজেলা মোড় হতে ফলুয়ার চর ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩৭’শ মিটার রাস্তা রয়েছে।
দীর্ঘদিন পর জনদূর্ভোগ নিরসনে এলজিইডির প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ টেন্ডারের মাধমে ৩ হাজার মিটার রাস্তার কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাদ পড়া বকুল দর্জির বাড়ি থেকে ফলুয়ার চর ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৭’শ মিটার রাস্তা বরাদ্দ না থাকায় সংস্কার কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। যথা নিয়মে ফলুয়ারচর ঘাটে ফেরি চলাচল করায় কুড়িগ্রাম জেলা সদর থেকে অসংখ্য যানবাহন এ রাস্তায় চলাচল করে। ৭’শ মিটার রাস্তা পাকাকরণ না হওয়ায় ওই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে গর্ভির গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। ফলে স্থানীয় জনসাধারণ চরম ভাবে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
গুরত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিনিয়ত শতাধিক পরিবহন ও ছোট খাটো অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে থাকে। এসব যানবাহন কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ফেরি দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে রৌমারীর ফলুয়ারচর ঘাট হয়ে দক্ষিণ বঙ্গের ময়মনসিংহ, ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেট, চট্রগ্রামসহ ৪/৫টি বিভাগের প্রায় ১০টি জেলায় যাতায়াতে করে।
অটোভেন চালক আজাহার আলী বলেন, বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। ভাঙ্গা রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যেতে বিভিন্ন স্থানে গর্তে গাড়ি উল্টে গিয়ে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়।
উপজেলা ভাইস চেয়ারমান সামসুল দোহা জানান, রাস্তাটি সংস্কার করা খুবই জরুরী। অতিদ্রুত সংস্তার না করলে এলাকাবাসি আরো দূর্ভোগে পড়বে।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মুনছুরুল ইসলাম বলেন, লঞ্চঘাট সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির খানের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে। তিনি ওই রাস্তাটি পানি নিস্কাশন ও যাতায়াতের জন্য যা করার দরকার তিনি করবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, আপাতত কোন বরাদ্দ নেই। তবে উপজেলা প্রশাসন থেকে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হবে এবং ঘাট ইজারাদারসহ দ্রুত রাস্তাটির সরস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।