প্রকাশ: বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪, ৬:২৯ অপরাহ্ন
বাগেরহাটের মোংলায় এক নারীকে ধরে এনে গনধর্ষনের মামলায় অভিযুক্ত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে মোংলা থানা পুলিশ। বুধবার (৫ জুন) সকালে মোংলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এদের আটক করা হয়। এদিন সকালে নির্যাতিত ওই নারীর বোন বাদী হয়ে মোংলা থানায় ধর্ষন মামলা করেন।
গ্রেপ্তার আসামীদের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামীরা হলেন, -মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের মনিরুল ফকিরের ছেলে রুমান ফকির (২৫), ওলি শেখের ছেলে রানা শেখ (২৪), তায়জিদ খানের ছেলে মোঃ সুমন (২৯), বাশার মোছাল্লীর ছেলে মিজানুর মোছাল্লী(২৮), মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মোঃ জামাল (৪৫), মোঃ লুৎফরের ছেলে মোঃ আওয়াল (৩৫) ও চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়া পঙ্গুর মোড় এলাকার মৃত চানমিয়া শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২২)।
মামলা সূত্রে জানাযায়, গনধর্ষনের শিকার ২২ বছর বয়সী ওই নারী সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে ১০-১২ দিন আগে মামলার আসামী সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের রুমান ফকির ও রানা শেখের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে গেল সোমবার তারা ওই নারীর সাথে মোংলা সরকারি কলেজের সামনে দেখা করে। পরে ওই নারীকে রাত ১০টার দিকে মোটর সাইকেলযোগে সুন্দরবন ইউনিয়নের উত্তর বাঁশতলা গ্রামের একটি মৎস্য ঘেরে ঢুকিয়ে চোখ ও মুখ বেঁধে জোরপূর্বক তাকে একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ করে। ওই নারী অচেতন হয়ে পড়লে ওইদিন রাত ৩টায় পাশ্ববর্তী চাঁদপাই ইউনিয়নের মৌখালী ব্রীজের রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা।
পরে এই পথ দিয়ে যাওয়া হুমায়ুন নামে এক মটর সাইকেল ড্রাইভার ওই নারীর চোখ ও মুখের বাঁধন খুলে দিলে কিছুক্ষণ পরে সে সুস্থ হয়। পরে ওই নারী তার বোনকে ফোন দেয় এবং মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, নির্যাতিত ওই নারীর বোনের করা মামলায় ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের সোপর্দ করা হয়েছে।