ঝিনাইদহে বিভিন্ন উপজেলায় গত পাঁচ মাসে ৩৮ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। গত মার্চ মাসেই সব থেকে বেশি মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। ঝিনাইদহ হাইওয়ে পুলিশ, হাসপাতাল, জেলা পুলিশ ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে এ সকল তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারী মাসে ১৩ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৫ জন, মার্চ মাসে ১৪ জন, এপ্রিল মাসে ৫ জন ও মে মাসে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এরমধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ১১ জন, কালীগঞ্জে ৭ জন, মহেশপুরে ৮ জন, কোটচাঁদপুরে ২ জন, শৈলকুপায় ৭ জন ও হরিণাকুন্ডুতে ৩ জন রয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগ সড়ক মহাসড়কে চলালকৃত অবৈধ যানবাহনের কারণে মারা গেছেন।
এছাড়া কিশোর ও তরুণ কলেজ শিক্ষার্থীরাও দ্রুতগতিতে মটরসাইকেল চালানোর ফলে প্রাণ হারিয়েছেন।
নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠেনের কর্মী সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান মিজু জানান, ঝিনাইদহের সড়ক ও মহাসড়ক ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়তই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে বাড়ছে, কিন্তু কোন প্রতিকার নেই দৃশ্যমান নয়। পাশা-পাশি ঝিনাইদহের মহাসড়কের অবস্থা যেমন করুণ তেমনি চালক ও অবৈধ যানবাহন ইদানিং বেশি বেপরোয়া।
ঝিনাইদহের মানবাধিকার কর্মী অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু জানান, বৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে সড়কে এই মৃত্যুর মিছির কোন ভাবেই থামানো যাবে না। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সমাজের সব শ্রেনীর মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
ঝিনাইদহ বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক আতিয়ার রহমান জানান, আমরা তো সব সময় সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছি। ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি। তারপরও সড়ক দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সড়কে নতুন নতুন অবৈধ গাড়ি চলাচল বেড়ে গেছে। ফলে সড়কগুলো অন্য সময়ের থেকে বেশি ব্যস্ত হয়ে উঠছে। ঝিনাইদহ হাইওয়ে পুলিশের ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সড়ক মহাসড়ক অবৈধ যানবাহন মুক্ত করতে প্রতি নিয়ত হাইওয়ে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। সড়কে চলাচলকৃত অবৈধ নসিমন, করিমন, আলমসাধু, লাটাহাম্বার ভটভটি ও ইজিবাইক আটক করে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তরপারও তাদের থামানো যাচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের একার পক্ষে অবৈধ যানচলাচল বন্ধ করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে যানবাহন চালকদের সবচেয়ে বেশি সচেতন ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে বলে তিনি মনে করেন।