৩য় ধাপে আগামী ২৯মে অনুষ্ঠিত হবে নওগাঁর আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে প্রার্থীদের নির্বাচনী কার্যক্রম। এমন জমজমাট নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার মধ্যেই আত্রাইয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে কৈ মাছ ও কাপ পিরিচ প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৪জন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা রজু করে আত্রাই থানা পুলিশ ৮ জনকে আটক করে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
আহতরা হলো- উপজেলার দীঘা গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৬২), মনিরুজ্জামান রনি (৩৮), জগদিসপুর গ্রামের জিহাদ (২২) এবং সাহেবগঞ্জ গ্রামের কামনা আক্তার (২৮)। পরে উন্নত চিকিসার জন্য শহীদুল ইসলাম শহীদ ও মুনিরুজ্জামান রনিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আটককৃতদের ২৫মে শনিবার নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে শনিবার দুপুরে উপজেলার নিজ কার্যালয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী এবাদুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এবাদুর রহমানের মুখপাত্র বলেন, শুক্রবার (২৪ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার জয়সারা আব্বাসের মোড়ে তার ভাই ও কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এসময় প্রতিদ্ব›দ্বী কাপ পিরিচের প্রার্থী মমতাজ বেগমের ছেলের নেতৃত্বে ১০থেকে ১৫জন সন্ত্রাসীর একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় প্রার্থীর ভাই শহীদুল ইসলাম শহীদ ও মুনিরুজ্জামান রনি ৪জনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করলে তারা গুরুত্বর আহত হয়।
মামলা ও প্রত্যক্ষদশী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (২৪মে) দিবাগত রাতে উপজেলার জয়সাড়া গ্রামে কৈ মাছ ও কাপ পিরিচ প্রতীকের কর্মী-সমর্থকের মধ্যে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এতে কৈ মাছ প্রতীকের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম ও ভাতিজা মনিরুজ্জামান রনি এবং সমর্থক জিহাদ আহত হন। একই ঘটনায় কাপ পিরিচ প্রতীকের বৌমা কামনা আক্তারও আহত হন।
আহতরা আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার লুৎফা খাতুন জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় ৪জন সামান্য জখম হয়ে হাসপাতালে আসলে তাদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
এদিকে দিঘা গ্রামের সাজেদুর রহমান বাদী হয়ে রাত সাড়ে ১২টায় থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে রাত ১১টার সময় ঘটনার স্থানে কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থীর ভাই ও ভাকিজা উপস্থিত থাকায় নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সচেতন ভোটারেরা অভিযোগ করেন।
কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মমতাজ বেগম জানান, কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থীর ভাই ও ভাতিজা আমার ভোটারকে টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করছে এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়।
আত্রাই থানার তদন্ত ওসি লুৎফর রহমান বলেন, সাদা রংয়ের কার গাড়ীতে করে মানুষ অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার সামনে চেকপোষ্ট বসিয়ে কার গাড়ীসহ ৮ জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তবে গাড়ীতে কোন অপহরণকারী পাওয়া যায়নি। পরে সাজেদুর রহমান বাদি হয়ে নির্বাচনী কাজে বাধা ও মারধরের অভিযোগ করলে তাদের আটক দেখানো হয়।