প্রকাশ: বুধবার, ২২ মে, ২০২৪, ৬:১৮ অপরাহ্ন
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শহীদ প্রেসিডেন্ট হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ও তার সফরসঙ্গীদের জানাজা নামাজ পড়িয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনী। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই জানাজা নামাজে লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন।
জানাজা নামাজ শেষে শহীদদের প্রতি লাখো জনতা শ্রদ্ধা জানান। তেহরানে শেষযাত্রা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে মরদেহগুলো তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গাড়িতে করে আজাদি স্কয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় মানুষের ঢল নামে। শোকার্ত জনতার হাতে ছিল রায়িসির ছবিসহ নানা বক্তব্য লেখা প্ল্যাকার্ড। এর আগে তাবরিজ ও কোম শহরেও শেষযাত্রায় মানুষের ঢল নামে। প্রেসিডেন্ট ও সফরসঙ্গীদের শেষযাত্রার কারণে আজ তেহরানে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
তেহরান থেকে আজ মরদেহগুলো আরেক শহর বিরজান্দে নেওয়া হবে। বিরজান্দ থেকে মরদেহগুলো মাশহাদে গেলে সেখানেও জনগণ তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানে মানুষের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ মাশহাদ হচ্ছে প্রেসিডেন্ট রায়িসির জন্মশহর। শেষ বিদায়ের অনুষ্ঠান শেষে মাশহাদে ইমাম রেজা (আ.)'র মাজার কমপ্লেক্সে প্রেসিডেন্টকে দাফন করা হবে।
ইরানে যারা বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব তাদের সবার ক্ষেত্রে শেষযাত্রার অনুষ্ঠান হলেও কিছু ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে তা জনসমাবেশে রূপ নেয়। এসব অনুষ্ঠানে শোকের মাতম হয়। সাধারণত মরদেহ গাড়িতে রাখা হয়। গাড়ি সামনে যেতে থাকে। মানুষ সেই গাড়ির চারপাশে ভিড় জমায়, দোয়া পড়ে। এভাবে প্রিয় ব্যক্তিত্বকে বিদায় জানায় এবং তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
গত সোমবার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ও হেলিকপ্টারের অপর আরোহীরা শহীদ হন। ওই হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট রায়িসি ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রাহমাতি ও এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম শহীদ হন। ঐ দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারের আট আরোহীর সবাই শহীদ হয়েছেন।