প্রকাশ: শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৮:০১ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মোবাইল ফোন না দেয়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে নিশাত নামে এক শিক্ষার্থীর আত্নহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নিশাত দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামের হেমায়েত উদ্দিন প্যাদার মেয়ে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৮ মে) দুপুর দেড়টায় নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে নিশাত। নিশাতের মা সকালে দেবরের নির্বাচনী ক্যাম্পিং করার জন্য বাসা থেকে বের হন। নিশাত বাসায় একা থাকে তাই মায়ের কাছে মোবাইল চায়। মোবাইল না দিয়ে মেয়েকে বকাঝকা করে ক্যাম্পিংএ চলে যায়। ক্যাম্পিংএ থাকা অবস্থায় তার ছোট মেয়ে মোবাইল করে জানায় ঘরের দরজা জানালা সব বন্ধ বাসায় আসো। একথা শুনে নিশাতের মা নাজমা বেগম তার স্বামী হেমায়েত উদ্দিনকে ঘটনার বিষয় জানান। তখন হেমায়েত বসায় এসে ঘরের দড়জা ভেঙে প্রবেশ করে দেখে নিশাত ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। এবং তিনি চিৎকার করলে এলাকার লোকজন এসে তাকে (নিশাত) উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতলে নিয়ে আসে।
হাসপাতলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আবিদা নাসরিন জিতু নিশাতকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিশাতের বাবা হেমায়েত উদ্দিন বলেন, আমার ছোট ভাই উপজেলা নির্বাচন করেন তার নির্বাচনী প্রচারনায় আমি, আমার স্ত্রী, আমার ছেলে যাই। ফোন পেয়ে এসে দেখি গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে মেয়ে নিশাত। আমার মেয়ের এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে। ওকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিলো। ওর মানসিক জিনগত সমস্যা ছিল। এ বিষয় নিয়ে ফকির দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। ঠিকও হয়। কয়েকদিন পর্যন্ত মাঝেমধ্যে বলতো আমাকে পিছন থেকে কে যেনো ডাকে।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ঘটনার বিষয় হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে শুনে লাশ পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।