প্রকাশ: সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ১:৪৯ অপরাহ্ন
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে দেশে দেশে বিক্ষোভ পালিত হচ্ছে। ইসরাইলের অন্যতম মিত্র আমেরিকায়ও চলছে বিক্ষোভ। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিক্ষোভ বড় আকার ধারণ করেছে। ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে ফেলার মতো ঘটনাও। যাতে সমর্থন দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের অধ্যাপকরাও।
চলমান এ আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অন্তত ৫০ জন অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসব কর্মকর্তাদের অনেকে পুলিশের কাছে মারধর ও হেনস্তার শিকারও হয়েছেন। শনিবার (১১ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ায় এই দাবিতে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভের জেরে ধরপাকড় ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৯ এপ্রিল ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। এ সময় অন্তত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করতে গেলে এগিয়ে আসেন আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ক্যারলিন ফলিন। তবে পুলিশ তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তাকে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরা হয়। এরপর তাকে আটকের পর পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া অভিযোগ করা হয়।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিভ তামারি নামের এক অধ্যাপককেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিক্ষোভের ভিডিও ধারণ করছিলেন ওই অধ্যাপক। তাকে অটকের সময় শারীরিক হেনস্তাও করা হয়। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশের মারধরে ওই অধ্যাপকের পাজর ও ডান হাত ভেঙে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যাপকদের সংগঠন আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রফেসরস জানিয়েছেম অধ্যাপকদের হাতকড়া পরিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
সিএনএন জানিয়েছে, গত ১৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ আন্দোলন চলছে। যা ইতোমধ্যে অন্তত ৫০ ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে গেছে। এ সময়ে দুই হাজার ৪০০ এর বেশি শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
অধ্যাপকদের দাবি, কিছু ক্ষেত্রে তারা তাদের নিজস্ব বিশ্বাসের ভিত্তিতে প্রতিবাদে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়া অন্যরা বলেন যে তারা তাদের ছাত্রদের সমর্থন দেখানোর জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন।