প্রকাশ: শনিবার, ১১ মে, ২০২৪, ৩:১৯ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দের আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ যুবদল নেতা মো. আল জাবেদ নামে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)। বিধি লঙ্ঘন করে জনসভার আয়োজন, মিছিল, শোডাউন করার ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে তাকে এ নোটিশ দেওয়া হয়।
মো. আল জাবেদ বিজয়নগর উপজেলা যুবলদলের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। তিনিসহ বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে সেখানে এখনও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল চারটায় জনসভায় আয়োজন করেন আল জাবের। তিনি এলাকায় মিছিল ও শোডাউন করেছেন। এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা একাধিকবার ফোন করলেও এবং বিজয়নগর থানা পুলিশ স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে প্রচার কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দিলেও তাৎক্ষণিকভাবে প্রচারণকাজ বন্ধ করেননি আল জাবের। এটি উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৫ এর পরিপন্থী।
আল জাবেরের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩৩ অনুযায়ী প্রার্থীতা বাতিলের বিষয়ে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না। আগামী রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতা ও বিএনপি দুইজন নেতাসহ ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ডামি প্রার্থী তিনজন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সমর্থক নাছিমা মুকাই আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রফিকুল ইসলাম, যুবলদলের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. আল জাবেদ, নাছিমা মুকাই আলীর দেবর মোশাহেদ হোসেন ও তাঁর বক্তিগত সহকারি হারুনুর রশিদ এবং যুবদল নেতার ব্যক্তিগত সহকারি মুজিবুর রহমান।