প্রকাশ: সোমবার, ৬ মে, ২০২৪, ৭:৫৪ অপরাহ্ন
দূষণ, ধুলাবালি ও তেল থেকে ত্বককে মুক্ত রাখতে প্রতিদিন পরিষ্কার করা দরকার। নয়তো ময়লা জমে জমে ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়। বাড়ে নানাবিধ সমস্যা। মৃতকোষ জমে জমে পোরস বন্ধ হয়ে যায়। একইসঙ্গে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক কিংবা অতিরিক্ত প্রাণহীন হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ মুখের সজীবতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দিনের পর দিন ত্বক পরিষ্কার না করলে বয়সের ছাপও পড়ে।
যারা বাজারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশের ওপর নির্ভরশীল, তারা মাঝে মাঝে ঘরে প্রাকৃতিক ফেসওয়াশ কিংবা ক্লিনজার বানিয়ে নিতে পারেন। যদি ঘরে বানানো ক্লিনজার ত্বকে মানিয়ে যায়, তাহলে তো কথা-ই নেই। বাড়তি খরচের ঝামেলা ছাড়াই মিলবে সতেজ ত্বক।
ক্লিনজার তৈরির পদ্ধতি-
• দই ও শসার মিশ্রণে তৈরি করতে পারেন ক্লিনজার। ব্লেন্ডারে অর্ধেকটি শসা নিন। এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ দই নিন। ভালো করে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ১০-১৫ মিনিট মুখে মেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
• একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ মধু নিন। এর সঙ্গে আধা চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে পুরো মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
• ওটমিলের সঙ্গে দুধ মিশিয়েও ক্লিনজার বানাতে পারেন। আধা লিটার দুধে এক কাপ ওটমিল দিয়ে জ্বাল দিন। দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড মরা কোষ দূর করতে সাহায্য করে। দুধ ও ওটমিলের মিশ্রণ থেকে তরলটুকু আলাদা করে নিন। এটি কটন বলের সাহায্যে মুখে, ঘাড় ও গলায় লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। থেকে যাওয়া তরল ফ্রিজে রেখে তিন দিন ব্যবহার করতে পারবেন।
• কাঠবাদাম ও দুধের সাহায্যে ঘরেই ক্লিনজার বানিয়ে নিতে পারেন। একমুঠো কাঠবাদাম সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এর সঙ্গে পরিমাণমতো দুধ মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। ক্রিমি টেক্সচার হলে নামিয়ে নেবেন। এই মিশ্রণ মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন।
• ডিমের কুসুমের সঙ্গে অর্গানিক মধু মিশিয়ে নিন। চাইলে এর সঙ্গে কাঠবাদামের পেস্ট মেশাতে পারেন। এই মিশ্রণটি পুরো মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এর ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।