প্রকাশ: সোমবার, ৬ মে, ২০২৪, ৬:৪৯ অপরাহ্ন
নেপালের নতুন ১০০ রুপির নোটে ছাপানো মানচিত্রে ‘ভারতের তিনটি এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে’ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, একতরফাভাবে নেপাল এই পরিবর্তন করলেও তা বাস্তবকে বদলাতে পারবে না।
নেপাল সরকারের মুখপাত্র রেখা শর্মা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল প্রচণ্ডর সভাপতিত্বে মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে নেপালের একটি নতুন মানচিত্র ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেই মানচিত্রই থাকবে নয়া ১০০ রুপির নোটে। লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা এবং কালাপানিকে ১০০ রুপির নোটে ছাপানো মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নেপালের তথ্য, প্রযুক্তি এবং জনসংযোগ বিভাগের মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার নয়া ১০০ রুপির ব্যাংক নোটের আকৃতি এবং ছবি নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা মন্ত্রিসভা ইতোমধ্যেই অনুমোদন করে দিয়েছে।
রেখা শর্মা জানান, গত ২৫ এপ্রিল এবং ২ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১০০ রুপির নোট এবং তার মধ্যে থাকা নেপালের মাানচিত্রের নয়া ডিজাইন অনুমোদন পেয়েছেন। তারপরই এই নোট বাজারে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রোববার (৬ মে) ভুবনেশ্বরে এক অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমি রিপোর্টটা দেখেছি। এখনো খুঁটিয়ে দেখা হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি, আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। নেপালের সঙ্গে সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে এক প্রতিষ্ঠিত মাধ্যমে। আর তার মাঝেই ওরা একতরফাভাবে কিছু পদক্ষেপ করছে। কিন্তু এমনটা করলে পরিস্থিতি কিংবা বাস্তব কিছুই পাল্টাবে না।’
নেপাল সরকার দীর্ঘদিন ধরে লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা এবং কালাপানিকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে। ২০২০ সালের ১৮ জুন নেপাল সরকার যে মানচিত্র প্রকাশ করেছিল সেখানে ওই তিন এলাকাকে সেদেশেরই অংশ বলে দেখানো হয়। অন্যদিকে, নয়াদিল্লিও ওই তিন এলাকাকে নিজেদের অংশ বলে জানিয়েছে। সেই বিতর্কই উসকে দিচ্ছে নতুন নোট।
উল্লেখ্য, নেপালের সঙ্গে ভারত ১ হাজার ৮৫০ কিলোমিটার এলাকা ভাগ করে সীমান্তে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি রাজ্য। সেগুলো হলো সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড।