প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪, ২:১০ অপরাহ্ন
এসি নেই, তবুও এই গ্রীষ্মের তাপদাহে কক্ষের তাপমাত্রা ২৮-৩০ ডিগ্রি। খরার এই মৌসুমে টিনের চালে ঝুমঝুম বৃষ্টির আওয়াজ। কৃত্রিম বৃষ্টি সৃষ্টি করে টিনের চালকে ঠাণ্ডা রাখার ব্যবস্থা করেছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশের তৃপ্তি হোটেলের মালিক আরিফুল ইসলাম। হোটেলটি তাড়াশ হাসপাতাল গেটে অবস্থিত।
কল্পনায় নয়, টিনের চালায় ওয়াটার কুলিং সিস্টেম লাগিয়ে এমন পরিবেশেই খাবার হোটেলের ব্যবসা করছেন তিনি।
বাইরে যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি থাকে সেখানে কুলিং সিস্টেমের কারণে তৃপ্তি হোটেলের ভেতরের তাপমাত্র থাকে ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
জানা গেছে, চলতি বছর বেশি গরমে অনুভূত হওয়ায় হোটেলে মানুষ খাবার খেতে আসতে চাইছিলেন না। সেই চিন্তা থেকে মানুষকে একটু শান্তি দিতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন আরিফুল ইসলাম। তার এই অভিনব উদ্যোগ তাড়াশ উপজেলায় বেশ সাড়া ফেলেছে। শীতল পরিবেশে স্বস্তিতে খাবার খেতে তার হোটেলে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তৃপ্তি হোটেলে কাস্টমারের ভিড়। খাবার খেতে অপেক্ষায় অনেকে। টেবিলগুলোও ব্যস্ত। এ সময় শুরু হলো বৃষ্টি। অথচ আশপাশে আর কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে না। দেখা গেল, তৃপ্তি হোটেলের টিনের চালে ঘুরছে কয়েকটি গার্ডেনিং ফোয়ারা। সেখান থেকে পানি বের হয়ে বৃষ্টি আকারে ভিজিয়ে দিচ্ছে তপ্ত চাল। এতে রুমের গরম গুমোট হাওয়া ঠাণ্ডা হচ্ছে। ফ্যানের বাতাস পরিবেশকে শীতল করে দিচ্ছে।
তবে এই কুলিং সিস্টেমের কারণে কাস্টমারের আনাগোনা একটু বেশি।
এ বিষয়ে তৃপ্তি হোটেলের মালিক আরিফুল ইসলাম বলেন, মানুষের ভালবাসা ও দোয়ায় ব্যবসায় ভালোই চলছিল। সম্প্রতি লক্ষ্য করলাম গরমের কারণে আমার হোটেলে মানুষ আসতে চাইতো না। টিনের চালার হোটেল। তাই গরম বেশি। সে কারণে কাস্টমারের সংখ্যা অনেক কম ছিল। এ সময় রুমের তাপ কমানোর বুদ্ধি বের করি। মূলত বিভিন্ন ভাবে জানতে পেরে আমি আমার ঘরের চালার উপর ওয়াটার কুলিং সিস্টেম লাগাই। এতে তাপমাত্রা কমায় কাস্টমার আসছেন বলে জানান তিনি।
খাবার খেতে আসা বিভিন্ন কাস্টমাররা বলেন, তৃপ্তি হোটেলে টিনের চালার উপর কৃত্রিম বৃষ্টি হয়। এখানে খাবার খেতে আসলে মনে হয় বাহিরে আসলেই বৃষ্টি হচ্ছে। আর ঘরের ভেতরটা ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। গরম কম লাগে তখন। স্বস্তিতে খাবার খাওয়া যায়