প্রকাশ: বুধবার, ১ মে, ২০২৪, ৫:১১ অপরাহ্ন
গতকালের পর আজও (বুধবার) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার (১ মে) যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অব্যাহত তাপমাত্রায় যশোরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে রয়েছে তৃষ্ণার্ত শ্রমজীবী মানুষের জন্যে শরবত, স্যালাইন পানি ও ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, ‘আজ পহেলা মে যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা জেলাতেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
এদিকে, অব্যাহত তাপমাত্রায় যশোরের সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। শ্রমজীবী মানুষ বিশেষ করে রিকশা-ভ্যানচালকেরা সকালের দিকে কাজে বের হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপ থেকে রক্ষা পেতে ছায়াতে বিশ্রাম খোঁজেন।
যশোর সদরের সুজলপুর এলাকার রিকশাচালক রিপন দাশ বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। দুইশ টাকা আয় হলেও নিজের জন্যে খরচ করেছি ৫০ টাকা। দিনশেষে মহাজনকে দিতে হয় আড়াইশ টাকা। রোদের ঝাঁজ বেশি বিধায় দুপুরে ভাড়া খাটা কষ্টকর। তা ছাড়া ওই সময় রাস্তায় লোকজনও বেশ কম থাকে।’
এদিকে তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণ হওয়ার যশোর পৌরসভার পক্ষ থেকে সড়কে পানি ছেটানো হয়েছে। কিন্তু এত গরমে রাস্তায় ছিটানো পানি মুহূর্তেই বাষ্প হয়ে যায়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের নার্স চায়না খাতুন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ২৭১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন ১৯ জন। হাসপাতালের সংক্রমণ (ডায়রিয়া) ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৩ জন । গত ২৪ঘণ্টায় ভর্তি ১৫ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র নিয়ে গেছেন ১৯ জন। এ ছাড়া প্রচণ্ড গরমে কী করণীয়, সে বিষয়ে প্রতিদিন ১০-১৫ জন রোগী পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
এদিকে, এই গরমে বিনা কারণে রোদে ঘোরাফেরা না করার পরামর্শ দিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. মধুসূদন পাল। খুব সকালে হাঁটাহাঁটি ও ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করা যাবে। কিন্তু সেটি যেন পরিমিত হয়।
তিনি বলেন, ‘কোনোভাবেই পচা-বাসি খাবার গ্রহণ করা যাবে না। ঘরে কিংবা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে হবে। শরীর খারাপ হলে নিকটবর্তী হাসপাতাল অথবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে।’