প্রকাশ: রোববার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৭:০৫ অপরাহ্ন
কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে হামিদুল হত্যার মূল হোতা রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহ্ আলমকে গ্রেপ্তার ও খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
আজ বেলা ১২টায় রাজিবপুর বাজার পাঁচ মাথা থেকে একটি র্যালি বের হয়ে উপজেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজিবপুর উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী।
এর আগে গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) সদরের টাঙ্গালিয়া পাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে হামিদুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হন। আহত আহত হয়েছেন আরও একজন। আহত রফিকুল ইসলাম (৪৫) নিহতের বাবা।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে রাজিবপুর উপজেলা সদরের টাঙ্গালিয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হামিদুল ইসলাম (রাশিদুল) রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের (৭নং ওয়ার্ড) টাঙ্গালিয়া পাড়া রফিকুল ইসলামের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী চায়না খাতুন ও পিতা রফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটায়।
তারা আরও জানান, শনিবার সকাল ১০টায় নিহতের চাচার একটি ছাগল বাড়ীর পাশে পাটক্ষেতে গেলে নাছিনা, সানজিদা ও মৌসুমী আমাদের উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমরা নিষেধ করলে আমাদের রাস্তায় পেলে হত্যার হুমকি দেয়। পরে শনিবার বিকেলে রাজিবপুর বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে পূর্ব টাঙ্গালিয়া পাড়া গ্রামের আঃ আলিম এর বাড়ীর সামনে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নাছির উদ্দীন ও তার মা নাছিমা বেগম আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার ছেলে হামিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। আমারও বিভিন্ন জায়গায় ছুরির আঘাত লাগে। পরে এলাকার লোকজন আমাদের উদ্ধার করে রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার মূল হোতা সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহ্ আলম। তিনি তার ভাতিজা নাছিরকে আমাদের ওপর হামলা করার জন্য দাঁড়িয়ে থেকে তার ভিতিজা নাছির উদ্দীন কে অনুমতি দিয়েছেন।
রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখজনক জনপ্রতিনিধিরা হচ্ছে জনগণের সেবক। এলাকায় কোন সমস্যা তৈরি হলে জনপ্রতিনিধিরা সেই সমস্যার সমাধানে কাজ করবে। ইউপিসদস্য যদি হত্যকান্ডের নেতৃত্ব দেয় তাহলে বিষয়টি লজ্জাজনক। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে। অভিযোগে উল্লখিত ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তারা পালিয়ে গিয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।