প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৬:২৬ অপরাহ্ন
অতিরিক্ত গতি, মহাসড়কের নির্দিষ্ট লেন ছেড়ে বিপরীত লেনে চলে এসে গাড়ি চালানো পাশাপাশি এবড়োখেবড়ো মহাসড়কের কারণেই ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ১৪জন নিহত হন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পুলিশ সুপার, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে পাওয়া গেছে এ তথ্য।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের নিকট সাক্ষাৎকালে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও পিকআপ দুটিরই অতিরিক্ত গতি ছিলো। আর পিকআপ চালক তার নির্দিষ্ট লেন ছেড়ে বিপরীত লেনে চলে আসে। একারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাসের চালক ফিট ছিলো কিনা, পিকআপ চালকের লাইসেন্স ছিলো কিনা তা জানা যায়নি।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার সুবাস বাড়ৈ বলেন, গাড়িটি ওভার গতিতে ছিলো। একারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে।
দিগনগরে দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই বাড়ি শেখ লিমন বলেন, এখানে মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে কিছু বিট মানে গর্ত আছে। রাস্তাও এবড়োথেবড়ো। ঈদের আগে বাইশ-তেইশটি ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সকালে ওই বিটের কাছেই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।কমিটি তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিবেন। এছাড়া নিহতদের দাফনের জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। নিহতদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের পরবর্তীতে ৫ লাখ এবং গুরুতর আহতদের ৩ লাখ টাকা করে প্রদান করা হবে। তিনি দূর্ঘটনায় নিহতদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে ফরিদপুর-খুলনা মহাসগড়কের কানাইপুরের দিগনগর তেতুলতলায় বাস ও পিকআপের ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত ৩ জন ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।