প্রকাশ: সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪, ৬:৩২ অপরাহ্ন
হোয়াইট হাউস ইসরায়েলকে সতর্ক করে জানিয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধমূলক হামলায় অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এই সতর্কতার কথা জানিয়েছেন।
১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েলে রাতারাতি তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে তেহরান। তবে লক্ষ্যে পৌঁছনোর আগেই প্রায় সব ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিত করেছে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রবাহিনী।
এ ক্ষেত্রে ইসরায়েলকে যেকোনো পাল্টা জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন জো বাইডেন—এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘খুব সাবধানে ও কৌশলীভাবে চিন্তা করতে’ বলেছেন।
কর্মকর্তারা আরো বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন বিশ্বাস করে, ইসরায়েল এর বিনিময়ে ‘সেরাটাই পেয়েছে’, যার শুরু হয়েছিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলায় জ্যেষ্ঠ ইরানি সামরিক কমান্ডারদের হত্যার মাধ্যমে।
এদিকে ইরান প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর সময় তাদের প্রায় ৯৯ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে ভূপাতিত করা হয়েছিল বা বাধা দেওয়া হয়েছিল, যা মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানের ওপর ইসরায়েলি সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের চিহ্ন হিসেবে দেখছে।
ইরান হামলা চালানোর সময় মার্কিন বিমান ও নৌবাহিনী বেশ কয়েকটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করে। ৮০টিরও বেশি ড্রোন এবং কমপক্ষে ছয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইরাকের ওপর দিয়ে ভূপাতিত করে মার্কিন বিমান ও জাহাজ বা বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী।
এর মধ্যে সাতটি ড্রোন এবং একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, যেগুলো তারা ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত করেছিল, ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) রবিবার এক আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছে।
যে হামলায় ইসরায়েলের দিকে যখন একযোগে প্রায় ১০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে আসছিল সে তুমুল উত্তেজনার মাঝেই বাইডেন ও নেতানিয়াহুর মধ্যে কথোপকথন হয়।