প্রকাশ: সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪, ৩:০৯ অপরাহ্ন
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহ ও বাংলাদেশি ২৩ নাবিক কবে মুক্ত হবে তা এখনো অনিশ্চিত। তবে মুক্তির পরও নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। যা ঈদের আগে অনিশ্চিত। যদিও ২৩ নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহকে মুক্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে এমভি আব্দুল্লাহ’র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ।
অন্যদিকে, ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির অপেক্ষায় স্বজনরা। তবে মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া জোর গতিতে এগোলেও ঈদের আগেই জাহাজটি ছাড়া পাচ্ছে কিনা তা এখনো অনিশ্চিত। আবার সব প্রক্রিয়া শেষে ছাড়া পেলেও মুক্তির পর নাবিকদের দেশে পৌঁছাতে পাঁচ থেকে সাত দিন লাগতে পারে। কারণ, নিকটস্থ বন্দরে জাহাজটি যাওয়া, নতুন একজন নাবিকের দায়িত্ব গ্রহণ এবং আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই এই সময় লাগার কথা।
কবির গ্রুপের মেরিনার ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান বলেন, যদি পুরো ক্রু চলে আসতে চায়, তাহলে ওনারা পুরোপুরি চেঞ্জ করার ব্যবস্থা করবেন। সেক্ষেত্রে এমন করা হতে পারে যে এই জাহাজে যারা আগে কাজ করেছেন, এক্স এমভি আব্দুল্লাহ, তাদের মধ্যে কয়েকজন অফিসার-ক্র’কে ওনারা হয়তো খুঁজে রিপ্লেস করার চেষ্টা করবেন।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, খাবার ও পানি সীমাবদ্ধতার কারণে কৃচ্ছতা সাধন করলেও নাবিকদের সঙ্গে সৌহাদ্যপূর্ণ আচরণ করছে জলদস্যুরা। তবে এ বিষয়ে কবির গ্রুপের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও নৌবাণিজ্য দপ্তর বলছে, এটি ভালো লক্ষণ। আলোচনা সন্তোষজনকভাবে এগোতে থাকলেই কেবল দস্যুরা ভালো ব্যবহার করে।
নৌবাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, যদিও বেশ অগ্রগতি হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে এবং জলদস্যুরা জাহাজে যেসমস্ত অফিসার-ক্রু আছেন, তাদের সঙ্গে আগের চাইতে আরও ভালো ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ থেকে পজিটিভ ফিডব্যাক পাওয়াতেই তারা এই সুযোগ-সুবিধা আগের চাইতে বৃদ্ধি করে দিয়েছে।
এর আগে ২০১০ সালে ২৬ আরোহীসহ জিম্মির ৯৯ দিন পর মুক্ত হয় কবির গ্রুপের আরেক জাহাজ জাহানমণি। মুক্তির পর ওমানের সালালা বন্দরে যেতে তিন দিন এবং নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে দেশে ফিরতে আরও দুই দিন লাগে নাবিকদের।
এবার আব্দুল্লাহ’য় থাকা কয়লা খালাসের কথা আরব আমিরাতের হামেরিয়া বন্দরে। মুক্তির পর জাহাজটি সেখানে নেয়া গেলে মিলতে পারে কিছু সুবিধা, যেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য কোনো বন্দরেও। তবে এসব দস্যুদের সঙ্গে দফারফার পর চূড়ান্ত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।