প্রকাশ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১০:১২ অপরাহ্ন
প্রতারণার মাধ্যমে জাল দলিল তৈরী করে জমি বিক্রয়ের অভিযোগে মোংলা পোর্ট পৌরসভার এক কাউন্সিলরসহ ৭জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় ৩জনকে আটক করে আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মোংলা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৩ আসামী আটক হলেও কাউন্সিলরসহ বাকী আসামীরা পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানায়, মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা এলাকার হরসিদ রায়ের পুত্র তারাপদ রায় ও দুর্গাপদ রায়কে মালিক বানিয়ে এই দুইজনের নামে পৌর মহিলা কাউন্সিলর শিউলী আক্তার, প্রদীপ মন্ডল ও মাহবুব মাষ্টরসহ কয়েকজন মিলে ৫ একর ৫৬ শতক জমির প্রতারনার মাধ্যমে জাল দলিল তৈরী করে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর সড়ে ১১টার দিকে সেই জমি কবলা দলিল মুলে বিক্রিয় করতে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যায় এ প্রতারক চক্রটি। সরকারী ১নম্বর বইয়ের ক্রমিক নং-১৮৭, দলিল নং-১৮৫, খাজনা পরিশোধের রশিদ ও সকল সই মহরকৃত জাল কাগজের ফটোকপি মোংলা রেজিস্ট্রি অফিসে জমা দেয় এ চক্রের সদস্যরা। সাব রেজিষ্ট্রার অফিসার আসামীদের দাখিলকৃত দলিল ও সরকারী সকল কাগজপত্র যাচাইকালে তা রেজিস্ট্রি অফিস এজলাসেই জাল ও ভূয়া প্রমাণিত হওয়ায় প্রতারক চক্রের তারাপদ রায়, দুর্গাপদ রায় ও প্রদীপ মন্ডল নামের এ ৩ জনকে হাতে-নাতে আটক রাখে রেজিস্ট্রি অফিসের লোকজন।
এ সময় পৌর কাউন্সিলরসহ বাকীরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। জাল কাগজপত্র তৈরী ও ভূয়া দলিলে জমি বিক্রির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে বুধবার রাতে মোংলা সাব রেজিষ্ট্রার স্বপন কুমার দে বাদী হয়ে আটক ৩ জনসহ মোংলা পোর্ট পৌরসভার (সংরক্ষিত ৭,৮,৯) মহিলা কাউন্সিলর শিউলী আক্তার, দালাল মাহবুবুর রহমান শেখ, ইলিয়াস মৃধা ও দিপা তরফদারসহ ৭ জনের নামের মোংলা থানায় মামলা দায়ের করেন এবং আটক ৩জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন সাব রেজিষ্ট্রার।
আটক ৩ জনকে আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান সহকারী পুলিশ সুপার।
মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার বরেন, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল ও অন্যান্য কাগজপত্র তৈরী করে জমি বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন কয়েক প্রতারক। এমন অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার রাতে সাব রেজিষ্ট্রার বাদী হয়ে মোংলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।