প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪, ৭:৪০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪, ৭:৪২ অপরাহ্ন
শরীর ভালো রাখতে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। গরম হোক কিংবা ঠান্ডা— পানির সঙ্গে কোনোরকম আপস করা চলবে না। এতে শরীরে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ কোনো ক্রনিক অসুখ না থাকলে দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে পারেন।
কিডনির যাবতীয় অসুখের সূত্রপাত হয় পর্যাপ্ত পানি পান করার অভাবে। কারণ কিডনিতে সমস্যা হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আর কিডনি বিকল্প হয়ে গেলে বেড়ে যায় মৃত্যুর ঝুঁকি।
খাওয়াদাওয়ায় ব্যাপক অনিয়ম, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, বিশেষ কিছু সাপ্লিমেন্ট এবং ওষুধের কারণে কিডনিতে পাথর জমে। কিডনির সমস্যার আগে শরীর বিশেষ কিছু ইঙ্গিত দেয়। বার বার জ্বর আসা এমনই এক ইঙ্গিত। কিডনির অসুখের আরও কিছু লক্ষণ সম্পর্কে চলুন জেনে নিই-
তীব্র যন্ত্রণা
কিডনিতে পাথর জমলে পিঠের দিক থেকে পাঁজরের দু’পাশে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। যদি দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা হয় তাহলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তলপেটে ব্যথা
ঘন ঘন তলপেটে যন্ত্রণা হলেও সতর্ক হোন। এটি হতে পারে কিডনিতে পাথর জমার ইঙ্গিত। দীর্ঘদিন এমন ব্যথা হলে সাধারণ সমস্যা বলে এড়িয়ে যাবেন না।
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
কিডনিতে পাথর জমলে প্রস্রাবের সময়ে কিংবা প্রস্রাবের পরবর্তী সময়ে জ্বালা অনুভব হয়। এছাড়াও প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত দেখা দিতে পারে। প্রস্রাব ত্যাগের প্রক্রিয়ায় কোনো কষ্ট অনুভব করলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
বমি-বমি ভাব
কিছু খেলেই বমি-বমি ভাব, মাথা ঘোরানো ইত্যাদি কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ হতে পারে। প্রায়ই এমন সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হোন।
ঘন ঘন জ্বর
জ্বর হলেই সাধারণ ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাল সংক্রমণ ভেবে এড়িয়ে যাবে না। কিডনিতে পাথর জমলেও জ্বর হতে পারে। ঘন ঘন যদি জ্বর হয় আর তার সঙ্গে যদি তীব্র পেট ব্যথা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।