রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রাক থেকে কাঁচামাল আনলোডিং, আড়তদার ও পাইকারি পর্যায়ে বেশকিছু পণ্য সরবরাহ ও বিক্রয় কার্যক্রমে অনিয়ম পাওয়া গেছে। এসব কারণে কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী সমিতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ মঙ্গলবারের মধ্যে কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদেরকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ পাওয়া গেছে-
১. ব্যবসায়ীরা রাতে পচনশীল সবজি বা পণ্য (বেগুন, শসা ও লেবু) খোলা রাস্তায় এবং আড়তের আংশিক জায়গায় অন্য পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন, কিন্তু তাদের কোনো ট্রেড লাইসেন্স নেই।
২. সবজির আড়তদার বা পাইকারি বিক্রেতারা পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ গ্রহণ বা প্রদান করেন না।
৩. আড়তদার বা পাইকারি বিক্রেতারা পণ্যের কোনো মূল্য তালিকা প্রদর্শন করেন না।
৪. সবজির সরবরাহ ব্যবস্থায় উৎপাদক থেকে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ থেকে ছয়টি হাত বদলের মাধ্যমে পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছায়।
৫. কারওয়ান বাজারে কাঁচামাল সরবরাহ ব্যবস্থায় কিছুসংখ্যক ফরিয়া বা মধ্যস্বত্বভোগীর উপস্থিতি লক্ষণীয়, যাদের কোনো দোকান বা ব্যবসায়িক পরিচয় পাওয়া যায়নি।
৬. সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতিটি পর্যায়ে পণ্য হাত বদলের ফলে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।
৭. সবজির আড়তগুলোতে পণ্য সরবরাহ ও বিক্রয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন-কানুন প্রতিপালন হতে দেখা যায়নি এবং তদারকির সময় আড়তের মালিক বা প্রতিনিধিদের পাওয়া যায়নি।
৮. উৎপাদক, আড়তদার এবং পাইকারি ও খুচরা কোনো পর্যায়েই পণ্য ক্রয়-বিক্রয় রসিদের প্রচলন পরিলক্ষিত হয়নি।
এসব কারণে পবিত্র রমজানসহ সারা বছর কাঁচাপণ্যের অবাধ সরবরাহ ও যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত তথা এ সংশ্লিষ্ট আইন, বিধি-বিধান পরিপালনে আড়তদার বা পাইকারি সমিতির সদিচ্ছা ও আগ্রহ নেই মর্মে বাজার তদারকিতে পরিলক্ষিত হয়েছে।
এ অবস্থায় অধিপ্তরের পক্ষ থেকে দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে উল্লিখিত অনিয়মের উপযুক্ত ব্যাখ্যা ১২ মার্চের মধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে (১ কারওয়ান বাজার, টিসিবি ভবন, অষ্টম তলা, ঢাকা) নিজে বা প্রতিনিধি উপস্থিত হয়ে প্রদানের জন্য নির্দেশ করা হয়।