প্রকাশ: শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪, ১২:৫৭ অপরাহ্ন
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের কাজকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলতার তুর্ক।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এ ধরনের কাজ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের তৎপরতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
ভলতার তুর্ক বলেন, সম্প্রতি অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের কাজ জোরেশোরেই এগিয়ে চলছে এবং এর পাশাপাশি নিষ্ঠুর যুদ্ধ চলছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, দখল করে নেওয়া ভূখণ্ডে নতুন করে বসতি স্থাপন ও সম্প্রসারণ করে তা ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের এক প্রতিবেদনে ভলতার তুর্ক বলেন, ‘এ ধরনের বসতি স্থাপন যুদ্ধাপরাধের নামান্তর এবং এ কাজে জড়িত লোকজনকে অপরাধপ্রবণ করে তুলতে পারে।’ তিনি জানান, পশ্চিম তীরের মালে আদুমিম, ইফরাত ও কেদার এলাকার কলোনিগুলোতে আন্তর্জাতিক আইনকে উপেক্ষা করে ইসরায়েল তিন হাজার ৪৭৩টি বসতবাড়ি তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে।
এদিকে স্পেন একই সুরে বলেছে, তারা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার (৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে বলে, এ ধরনের তৎপরতা দ্বি-জাতিভিত্তিক সমাধানের পথকে রুদ্ধ করে দেবে এবং শান্তির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা বসতি স্থাপনের পরিকল্পনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তারা ইসরায়েলকে তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানায়।
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ইসরায়েল পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকা দখল করে নেয়। তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ওই ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন সম্পূর্ণ অবৈধ কাজ। কিন্তু বাইরের চাপকে উপেক্ষা করে ইসরায়েল পশ্চিম তীরে বেশ কিছু স্থাপনা গড়ে তোলে। এসব এলাকায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনির পাশাপাশি চার লাখ ৯০ হাজার ইসরায়েলি বসবাস করে আসছে।
ভলতার তুর্ক অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ২৪ হাজার ৩০০টি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে পশ্চিম তীরে ইহুদিদের থাকবার জন্য।