বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

ভারতের ভিত্তিহীন বিবৃতিতে ঘটনার ভুল উপস্থাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছে ভারত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার, বিচার নিশ্চিতের দাবি হাসনাত ও সারজিসের    চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ    একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কমলো    ২০১ রানের বড় হার বাংলাদেশের    চলতি মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু দেড়শ ছাড়িয়েছে   
আমিরাতের মরুভূমিতে উৎপাদিত হচ্ছে কৃত্রিম হীরা
প্রকাশ: শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪, ১:৫৯ অপরাহ্ন

পৃথিবীর দুর্লভ ধাতুগুলোর মধ্যে অন্যতম হীরা। হাজারো বছর ধরে হীরার সন্ধানে মানুষ পৃথিবীর গভীরে খনন করেছে। হীরার চাহিদা মেটাতে শুধুমাত্র খনন নয়, বিভিন্ন উপায়েও এটি তৈরি করা সম্ভব। 

ইন্টারন্যাশনাল জেম সোসাইটি তথ্যমতে, ১৯৫০-এর দশকে প্রথম ল্যাবে হীরা উৎপাদন করা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ল্যাবে তৈরি হীরার প্রযুক্তিও বিকাশ লাভ করেছে। বর্তমানে বিভিন্ন ল্যাবে প্রায় ৮০ ভাগ সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত মানের হীরা তৈরি হচ্ছে। কৃত্রিম হীরা উৎপাদনে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং চীন। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, চীনে কয়েক দশক ধরেই শিল্পে বস্তু থেকে কিছু ঘষে তুলে ফেলতে কৃত্রিম হীরা উৎপাদন করা হচ্ছে। পাশাপাশি গয়নায় ব্যবহারের জন্যও দেশটিতে কৃত্রিম হীরা উৎপাদনের পরিকাঠামো রয়েছে। অন্যদিকে হীরা কাটা ও পালিশ করার ক্ষেত্রে বেশ সাফল্য দেখিয়েছে ভারত। বৈশ্বিক বাজার দখল করতে ল্যাবে উৎপাদিত ডায়মন্ড প্রযুক্তিও ব্যবহার করছে দেশটি।

মূলত কৃত্রিমভাবে হীরা উৎপাদনের সুবিধা হচ্ছে এটি যেকোনো অঞ্চলেই করা সম্ভব। এমনকি মরুভূমির মতো জায়গায়ও তা করা যায়। হীরা আমদানি ও রপ্তানিতে প্রথমসারির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে এখন পর্যন্ত সেখানে হীরার কোনো প্রাকৃতিক খনি আবিস্কার করা সম্ভবপর হয়নি। 

আমিরাতের একজন উদ্যোক্তা মোহাম্মদ সাবেগ। তিনি শুধু হীরার ব্যবসাই নয় বরং এটিকে উৎপাদন করার সম্ভাবনাও দেখেছেন।  সাবেগ ২০২২ সালে দুবাই-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ২ডিওটি৪ ডায়মন্ডস প্রতিষ্ঠা করেন। যা আরব আমিরাতের প্রথম কোম্পানি যারা ল্যাবে উৎপাদিত হীরা তৈরি, কাটা এবং পালিশের কাজ করছে। 

সিএনএনকে সাবেগ জানান, আমাদের ধারণা ছিল হীরাকে বরং ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য করা। এক্ষেত্রে সারা বিশ্ব থেকে হীরা নিয়ে আসার পরিবর্তে বরং স্থানীয়ভাবে তা উত্পাদন ও বিক্রি করা। তবে প্রাকৃতিক ডায়মণ্ডের সঙ্গে মূল পার্থক্য হচ্ছে আমরা চাপ, তাপ ও গ্যাস নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। কিন্তু খনির হীরায় তার প্রয়োজন হয় না, প্রাকৃতিকভাবেই হয়। তার কথায়, 'বিভিন্ন প্যারামিটারের ওপর ভিত্তি করে ডায়মন্ডের উৎপাদনের সময় ঠিক করা হয়। এক্ষেত্রে উৎপাদনে গতি যত কম হবে মান তত বৃদ্ধি পাবে।'

দুবাই মাল্টি কমোডিটি সেন্টারের সিইও ও নির্বাহী চেয়ারম্যান আহমেদ বিন সুলায়েম বলেন, আরব আমিরাতের একটি শীর্ষ হীরা ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এক্ষেত্রে তেলের ব্যবসার পাশাপাশি বৈচিত্র্য আনতে ল্যাবে-উত্পাদিত হীরা শিল্প প্রসারিত করা অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

তিনি বলেন, ল্যাবে উৎপাদিত ডায়মন্ড প্রযুক্তি ও বাণিজ্যের সঙ্গে সংযোগের প্রতীক। এর বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই রূপান্তরের যুগে দুবাইকে একটি অগ্রগামী শক্তি হিসেবে দেখতে আমরা উচ্ছ্বসিত। তবে ল্যাবে উৎপাদিত ডায়মন্ড শিল্পে নিজেদের অবস্থান তৈরি করা আরব আমিরাতের জন্য খুব একটা সহজ হবে না। কেননা দেশটিকে এক্ষেত্রে ভারত ও চীনের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft