প্রকাশ: রোববার, ৩ মার্চ, ২০২৪, ৭:৪০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: রোববার, ৩ মার্চ, ২০২৪, ৭:৪২ অপরাহ্ন
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে খনি সংলগ্ন উত্তর চৌহাটি ও হামিদপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভসহ ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হযেছে। খনি কর্তৃপক্ষকে দাবি জন্য ৭২ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে।
গতকাল রবিবার (৩ মার্চ) সকাল ১১টায় ক্ষতিগ্রস্তদের সংগঠন জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটি উত্তর চৌহাটি এবং হামিদপুর গ্রামবাসীর ব্যানারে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর ক্ষতিপূরণের পাঁচ দফা দাবিতে চৌহাটি গ্রামে আয়োজিত ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটি উত্তর চৌহাটি এবং হামিদপুর গ্রামবাসী নামের সংগঠনের সভাপতি মো. এরশাদ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান, মো. এহসানুল হক হিটলার, সহ-সভাপতি মো, সামিউল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. সুলতান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোহাগ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মেনহাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের পাঁচ দফা দাবি পূরণের জন্য খনি কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘন্টা আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনরত গ্রামবাসীর সংগঠন জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটি উত্তর চৌহাটি এবং হামিদপুর গ্রামবাসী। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে খনি এলাকা ঘেরাওসহ কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলা হবে। এতে খনির উৎপাদন ও উন্নয়ন কাজ বাঁধাগ্রস্ত হলে এর দায়দায়িত্ব খনি কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটি উত্তর চৌহাটি এবং হামিদপুর গ্রামবাসী নামের সংগঠনের সভাপতি মো. এরশাদ মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, খনির ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের ফলে ডিনা মাইট বিষ্ফোরণে ঘরবাড়ীতে ফাটলসহ এলাকা দেবে যাচ্ছে। বাসাবাড়ীর টিউবওয়েলগুলো পানিশূন্য হয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানীয়জনের সংকট দেখা দিয়েছে। বিষয়গুলো তদন্ত পূর্বক ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য খনি কর্তৃপক্ষকে বারংবার লিখিতভাবে জানানোর পরও সর্বশেষ গত ২৯ ফেব্রুয়ারি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত খনি কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) মহাব্যবস্থাপক (জিএম-সার্ফেস অপারেশন) এটিএম নূরুজ্জামান বলেন, যে গ্রামের লোকজন ক্ষতিপূরণের জন্য দাবি জানাচ্ছেন সেই গ্রামগুলো খনি এলাকা থেকে দূরে। খনির প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত রয়েছে খনি এলাকার থেকে দূরে কাউকে কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। তবে খনির কারণে সত্যি সত্যিই যদি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হন, তবে সেটি তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন খনি কর্তৃপক্ষ। খনির কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এটা খনি কর্তৃপক্ষ চান না। কাউকে ক্ষতি করা খনি কর্তৃপক্ষের কাজ না। সবাইকে নিয়েই খনির উৎপাদন ও উন্নয়ন কাজ করাই খনি কর্তৃপক্ষের কাজ।
কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাঁচ দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভসহ মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সহস্র গ্রামবাসী অংশ নেন।