প্রকাশ: রোববার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন
ডায়াবেটিসকে মাদার অব ডিজিজ বলা হয়। এই রোগটির সঙ্গে আরও অনেক স্বাস্থ্য জটিলতা সম্পর্কযুক্ত। কেউ ঘন ঘন প্রস্রাব করলে ধারণা করা হয় তার ডায়াবেটিস হয়েছে। কিন্তু এ ধারণা সবসময় ঠিক নাও হতে পারে। অনেকসময় কিডনিজনিত সমস্যার কারণেও এমনটা হতে পারে।
কিডনির জটিলতাগুলো সাধারণত অনেক পরে ধরা পড়ে। শুরুতে তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগে কিডনির জটিলতা নিয়ে সচেতন হন না বেশিরভাগ মানুষ।
অনেকক্ষেত্রেই একটি কিডনি বিকল হলেও কাজ চলতে থাকে অন্যটি দিয়ে। তাই ক্ষতি সম্পর্কে আগে থেকে আঁচ করা মুশকিল। অন্যান্য রোগের মতো কিডনির অসুখেও খাওয়াদাওয়ায় অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। পানি পানের পরিমাণের ওপরও থাকে বিধিনিষেধ। তাই এসম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। কোন লক্ষণগুলো দেখা দিলে কিডনির অসুখ নিয়ে সতর্ক হবেন চলুন জেনে নিই-
অনিদ্রা
সারা রাত জেগে থাকছেন? কিডনি ঠিকঠাক না কাজ করলে কিন্তু মূত্রের মাধ্যমে শরীরের বর্জ্য পদার্থগুলো দেহের বাইরে বের হতে পারে না। অনিদ্রার অন্যতম কারণ এটি।
কাজ করার শক্তি হারিয়ে ফেলা
বৃক্কের সমস্যার অন্যতম প্রধান একটি লক্ষণ হলো কাজকর্মের উদ্যম হারিয়ে ফেলা। বৃক্কের মূল কাজই হল রক্তকে পরিশুদ্ধ করা। এটি যখন ঠিকমতো কাজ করে না তখন রক্তে বিষাক্ত ও অপ্রয়োজনীয় উপাদান বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই শরীরে ক্লান্তিভাব আসে।
ত্বকের সমস্যা
দেহের প্রয়োজনীয় লবণ ও খনিজ পদার্থের ভারসাম্য রক্ষা করে কিডনি। এই উপাদানগুলো ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে ও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় বড় ভূমিকা থাকে। তাই শুষ্ক খসখসে ত্বক, ত্বকের ঘা, চুলকানি ও হাড়ের সমস্যা ইত্যাদি কিডনি সমস্যার অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাব
ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসা মানেই ডায়াবেটিস, এমনটা নয়। এটি কিডনির অসুখের লক্ষণও হতে পারে। বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশিবার মূত্রত্যাগ করতে হলে সতর্ক হোন। মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত বা মূত্রে অতিরিক্ত ফেনা হওয়াও কিডনির বিকল হওয়ার লক্ষণ।
পা ফোলা
কিডনির সমস্যা হলে রক্তে সোডিয়ামের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। ফলে পা ফুলে যায়। অনেকসময় খনিজ লবণের ভারসাম্যের ফলে শরীরের পেশিতে টান লাগার সমস্যা তৈরি হয়। মূলত ক্যালশিয়াম ও ফসফরাসের সমস্যার কারণে এমনটা হয়।