প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
জাপানি সেনাবাহিনীতে তরুণদের আকৃষ্ট করার জন্য লম্বা চুল রাখার অনুমতি দেওয়া হবে বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। চীন এবং উত্তর কোরিয়া নিয়ে চলমান উত্তেজনা ও সেনা ঘাটতির মধ্যে জাপান সরকার এমন ঘোষণা দিল। তাই তরুণদের সেনাবাহীনিতে যোগ দেওয়ার জন্য আকৃষ্ট করতে এই উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের সেনাবাহিনীর পুরুষ সদস্যদের চুলে বাজ কাট (একেবারে ছোট) এবং নারীদের ছোট চুল রাখার নিয়ম ছিল।
আগামী এপ্রিল থেকে এই নিয়ম শিথিল হতে যাচ্ছে। নতুন নিয়ম অনুসারে, পুরুষ সেনারা পেছনে ও দুই পাশে ছোট চুল রেখে মাঝের চুলগুলো বড় রাখতে পারবেন। নারী সেনাদেরও লম্বা চুল রাখার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় তাদের চুল কোনোভাবেই কাঁধে পড়া যাবে না। এছাড়া হেলমেট পরার সময় লম্বা চুল যেন বাধা সৃষ্টি করতে না পারে, তা খেয়াল রাখতে হবে।
কিয়োডো নিউজ এজেন্সি অনুসারে, জাপানের স্ব-প্রতিরক্ষা বাহিনীতে (জেএসডিএফ) সেনা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য গত জানুয়ারিতেই একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল বৈঠকে নিয়ম শিথিলের জন্য প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছিল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মিনোরু কিহারা সেই বৈঠকে বলেছিলেন, ‘যেহেতু আমরা গুরুতর শ্রমশক্তির ঘাটতির মুখোমুখি, তাই বেসরকারি খাতসহ অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা তীব্রতর হচ্ছে।’ গত বছর জাপান ঘোষণা করেছিল যে তারা আগামী পাঁচ বছরে প্রতিরক্ষা ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে।
কিন্তু নতুন সেনা নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে হিমশিম খাচ্ছে জাপান। দেশটির সেনাবাহিনী নিজেদের সক্ষমতার চেয়ে ১০ শতাংশ কম সদস্য নিয়ে কাজ করছে।
জাপান টাইমস তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘ক্রমহ্রাসমান জন্মহার এবং বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জনসংখ্যার শীর্ষে এখন জাপান। এ ছাড়াও রয়েছে, দুর্বল বেতন এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ। এসব কারণে সেনা নিয়োগে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।
গত বছরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তরুণদের সেনাবাহিনীতে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে চুল বড় রাখা ও শরীরে ট্যাটু রাখাদেরও সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার অনুমতি দিবে।
সূত্র: বিবিসি