প্রকাশ: শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১০:১৬ অপরাহ্ন
গাইবান্ধায় ডলার প্রতারক চক্রের মূল হোতা মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামাল হোসেন। প্রতারককে জিজ্ঞাসাবাদ মাধ্যমে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নগদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা, ১ টি মোটর সাইকেল, ১টি ইজিবাইক, ১ টি চার্জার ভ্যান ও একটি ডলারের কালো ব্যাগে বিশেষ কায়দায় ১৩ বিস্কিট ও ৫ টি ডালারে বান্ডিল উদ্ধার করে। মোট উদ্ধারকৃত অর্থের পরিমাণ ৮ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।
পুলিশ সুপার বলেন, এটি একটি প্রতারক চক্র, এদের সাথে আরো ৬ ব্যাক্তি জড়িত রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
এজহার সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী জেলার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে বাদী মোহাম্মদ নিজামুল হক গত দুই-তিন মাস পূর্বে একজন অজ্ঞাতনামা মহিলা তার ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন করে বাদীর দুর্বলতায় দাদু নাতির সম্পর্ক সৃষ্টি করে। বাদী ব্যবসায়িক কাজে বিভিন্ন সময় রংপুর আসলে উক্ত মহিলার অনুরোধক্রমে ধাপের হাট এলাকায় পৌঁছালে উক্ত মহিলার প্রতিবেশী চাচাতো ভাই ইজিবাইক যোগে অজ্ঞাতনামা স্থানে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। তাকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে এই মহিলা তার পিতা হিসেবে পরিচয়কারী একজনকে পরিচয় করে দেয়। এক পর্যায়ে একটি কালো রঙের ব্যাগে করে আনুমানিক ১০০০ পিস আমেরিকান ডলার তাকে দেখায় ও বলে যে ৮ ডলার আছে। সেই মহিলার পিতা নানা ধরনের কৌশল দিয়ে এসব ডলার বাদীর কাছে ৭ লাখ টাকা বিক্রির প্রস্তাব দেয়। এবছরের ৬ ফেব্রুয়ারিতে বাদী ও তার মেয়ের জামাই ব্যবসায়ের কাজে নরসিংদী থেকে রংপুর আসে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে। পরে সাদুল্ল্যাপুর থানার ধাপের হাট বাজারের গামী পাকা রাস্তার পার্শ্ব থেকে ঐ মহিলা আনুমানিক দুপুর দুইটার দিকে তার চাচাতো ভাই ইজি বাইক নিয়ে তাদের দুজনকে অজ্ঞাত এক বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ডলার দেখিয়ে জোর করে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। এরপর বাদী তাদের নিকট ডলার বা টাকা চাইলে বাদীকে ডলার বা টাকা না দিয়ে হত্যার হুমকি দেয় প্রতারক চক্রের সদস্যরা। পরে বাদী পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের সাথে আলাপ আলোচনা করে সাদুল্যাপুরে থানায় ৯ ফেব্রুয়ারী মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, এজহারকৃত মামলার পরপরই সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আজমিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এস আই মো. জসিম উদ্দিন তদন্ত করে এই মূল হোতা প্রতারক মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩৮) কে আটক করতে সক্ষম হয়। বাকি আসামীদের ধরতে তদন্তের মাধ্যমে নিয়মিত অভিযান চালাবেন পুলিশ।