প্রকাশ: শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৯:২৪ অপরাহ্ন
দেশে চলমান পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগে প্রতারণার অভিযোগে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে শামীম নামে প্রতারক চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার বিকেল ৩ টায় ঘোড়াঘাট থানা কার্যালয়ে এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিকদেরকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন, হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম। প্রেস কনফারেন্সে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃত শামীম মিয়া (৩৮) গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সিধনগ্রামের আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে।
এ সময় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, শুক্রবার ঘোড়াঘাট পৌরসভার এস.কে বাজার এলাকার বাসিন্দা বজলার রহমানের ছেলে সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি ঘোড়াঘাট মহিলা ডিগ্রী কলেজের একজন কর্মচারী। অপরদিকে আসামী শামীম একই এলাকায় চলাফেরা করাকালে বাদীর সহিত তার পরিচয় হয়।
এ সুবাদে আসামী জানায়, তিনি একজন সরকারী কর্মচারী এবং তার সাথে বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি টাকার বিনিময়ে বাদীর ছেলেকে চাকুরী নিয়ে দিতে পারবেন। আসামীর কথামতে বাদীর ছেলে ওমর ফারুক ফয়সাল কে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীর জন্য গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখে আসামী শামীম মিয়াকে নগদ ১ লক্ষ ৫, ৫০০ টাকা প্রদান করেন। সে সময় বাদীর হাতে একটি সীল সাক্ষর সম্বলিত একটি সুপারিশ পত্র প্রদান করেন। পরে বাদীর ছেলে দিনাজপুর পুলিশ লাইনে উপস্থিত হয়ে চাকুরী না পেয়ে ফেরত আসে।
বাদী আসামীকে চাকুরীর বিষয়ে বললে আসামী শামীম জানান, কোনো সমস্যা নেই যেভাবেই হোক চাকুরী হবে।
আসামীর এহেন কথাবার্তা ও কার্যকলাপ দেখে আসামীর বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন, আসামী একজন প্রতারক। তিনি বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীর ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন অপকর্ম সহ চাকুরী দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা পূর্বক টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা রুজু করে ঘোড়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক আজিজার রহমানকে তদন্তভার অর্পণ করে ঘোড়াঘাট নয়াপাড়া এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে দিনাজপুর জেল হাজতে প্রেরণ হয়েছে।