বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ইজতেমার আয়োজকদের সাথে সমন্বয় করে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমার পুরো ময়দান নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা থাকবে।
আজ বুধবার দুপুরে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের পাশে স্থাপিত পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে এবং আমাদের সদস্যদের প্রতি আস্থা রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে তাদের ব্রিফিং দিয়েছি, প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কে কোথায় কিভাবে কখন ডিউটি পালন করবেন এবং কোন পরিস্থিতিতে কিভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে তার জন্য আমরা তাদের প্রস্তুত করেছি।
তিনি দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা কোনো গুজবে কান দিবেন না। একটি মহল দেশের শান্তি শৃঙ্ক্ষলা নস্যাৎ করতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে। বিভিন্ন দল গ্রুপ-সম্প্রদায়ের মাঝে বিবেদ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তাদের গুজবে নাগরিকরা কান দিবেন না।
ব্রিফিং সঞ্চালনা করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: মাহবুবুল আলম। এসময় নৌ ও টুরিস্ট-সহ পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ ও ইউনিটের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, টঙ্গীতে শুরু হওয়া ৩দিন ব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে সব গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে ৫ স্তরের নিরাপত্তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খোরশীদ হোসেন। বুধবার সকালে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের পাশে র্যাবের কন্ট্রোলরুমে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, এবারের ইজতেমা আয়োজনে জঙ্গি বা কোনো উগ্রবাদী সংগঠনের হুমকি নেই। সব গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে র্যাব পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য রয়েছে একটি মূল নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও দুটি উপনিয়ন্ত্রণকক্ষ।
তিনি আরও বলেন, তা ছাড়া র্যাবের বোম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড ও স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করছে। তুরাগ নদে টহলের জন্য র্যাবের স্পিডবোট থাকছে। ৯টি অবজারভেশন পোস্ট, ৯টি ওয়াচ টাওয়ার সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। পুরো ময়দান পর্যবেক্ষণের জন্য আকাশপথে আজ থেকেই র্যাবের হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে।
র্যাব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেবে বলেও জানান তিনি।
টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ। এতে অংশ নিচ্ছেন মাওলানা জোবায়েরপন্থীরা। দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেবেন ভারতের মাওলানা সাদপন্থীরা। ইজতেমায় যোগ দিতে ইতিমধ্যে ময়দানে আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা।