প্রকাশ: বুধবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪, ৬:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: বুধবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪, ৬:৩১ অপরাহ্ন
নাটোরের নলডাঙ্গায় একটি মাদরাসায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে এসে চারজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
আজ বুধবার দুপুরে নাটোর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার গৌরিপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
নলডাঙ্গা থানার কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনোয়ারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার আকনপাড়া গ্রামের ইমান আলীর ছেলে মোঃ লিমন হোসেন (২৭), গাজিপুর জেলার মোঘরখাল এলাকার আবু সাইদ সরকারের ছেলে মোঃ জয় সরকার (২৮), বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হামরাজ গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে মোঃ ইউনুস আলী জয় (২৭) এবং শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার ভারতকান্দি গ্রামের মৃত শাহিন মিয়ার ছেলে মোঃ সিহাব মিয়া (২৪)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে একটি প্রাইভেট কার নিয়ে নলডাঙ্গা উপজেলার গৌরিপুর হাফেজিয়া এবতেদায়ী মাদরাসা ও এতিমখানায় যান।
এসময় প্রধান শিক্ষকসহ মাদরাসা কর্তৃপক্ষকের কাছে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দেন। এসময় তারা প্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভয়ভীতি দেখিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ১ লাখ টাকা দাবী করেন। এসময় তাদের কথা-বার্তা ও চলাফেরায় সন্দেহজনক হলে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়ে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাদের আটক করেন।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এঘটনায় গৌরিপুর হাফেজিয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসা ও এতিমখানায় কর্মরত প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান বাদি হয়ে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী তিন যুবক ও গাড়ি চালককে আসামি করে চাঁদাবাজির অভিযোগে নলডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। তারা নিজেদের সাংবাদিক বলে দাবী করেন। ইতোপুর্বেও একবার ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা একই কায়দায় নিয়ে গেছেন। আর মাঝে মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে ফোন দিয়ে টাকা দাবী করতেন।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, আগেও সুপারের কাছে এসে চাঁদা দাবি করে টাকা নিয়েছে। আমার কাছে এসে তারা টাকা দাবী করলে আমি সভাপতির কাছে পাঠাই।পরে স্থানীয়রা তাদেরকে ভুয়া সনাক্ত করে পুলিশের হাতে সৌপর্দ করেন।
নলডাঙ্গা থানার কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনোয়ারুজ্জামান জানান, আটককৃতরা সকলেই নিজেদের সাংবাদিক বলে দাবী করেন। এসময় তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট পত্রিকার পরিচয়পত্র ও লগো দিয়ে ষ্টিকার লাগানো ৪টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। তবে তারা প্রকৃত সাংবাদিক কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।