প্রকাশ: রোববার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
হাইকোর্টে সিলেট কারা কর্তৃপক্ষের পাঠানো প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হবিগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মায়ের সঙ্গে ১১ মাসের শিশু মাহিদা কারাগারে নিরাপদে আছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত বলেন, আজ রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শিশুটির জন্য মশারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দিনের বেলা মা-সহ ডে কেয়ার সেন্টারে থাকে।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর হবিগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মায়ের সঙ্গে ১০ মাসের শিশু মাহিদা থাকার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শিশুটি ফাঁসির সেলে কি অবস্থায় আছে, শিশুকে কি কি সুবিধা দেওয়া হয়েছে, এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। আইজি প্রিজন্স ও হবিগঞ্জের সিনিয়র জেল সুপারকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ।
এছাড়া শিশু মাহিদার জন্য সব ধরনের সুব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা এবং খামখেয়ালিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বাচ্চাদের ফাঁসির সেলে রাখার ক্ষেত্রে সুব্যবস্থা গ্রহণের নীতিমালা করতে কেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ফাঁসির সেলে কেমন আছে ১০ মাসের মাহিদা’- শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। আজ রিটের শুনানি শেষে আদালত বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হবিগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় মায়ের মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ায় মায়ের সঙ্গেই ফাঁসির সেলে বন্দি আছে ১০ মাসের শিশু মাহিদা। এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে নিহত গৃহবধূ আয়েশা আক্তারের বাবা আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।