প্রকাশ: রোববার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) আয়তন বাড়িয়ে নতুন আরও ৮টি থানা গঠন করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রস্তাব বর্তমানে বিবেচনায় রয়েছে। রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে এমন তথ্য জানিয়েছেন সিএমপির উপকমিশনার (ডিসি–এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) এসএম মোস্তাইন হোসাইন।
তিনি বলেন, বর্তমানে সিএমপির আয়তন ৩০৪ দশমিক ৬৬ বর্গকিলোমিটার। আওতাধীন থানার সংখ্যা হচ্ছে ১৬টি। সেটি বাড়ানোর জন্য দুটি প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রথম প্রস্তাবনায় কর্ণফুলী, আকবরশাহ ও চান্দগাঁও থানা ভেঙে নতুন চারটি থানার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ চারটি থানা হলো বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে দুটি থানা, মোহরা থানা ও কাট্টলী থানা। এ প্রস্তাবটি কেবিনেট সেক্রেটারির দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় চট্টগ্রাম মহানগর ও হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড, পটিয়া থানার মধ্যবর্তী অংশ ভেঙে চারটি থানা গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। নতুনভাবে আটটি থানা সৃষ্টির ক্ষেত্রে পুলিশ সদর দপ্তরের সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন সিএমপির এই কর্মকর্তা।
সিএমপির কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুরক্ষিত করতে হলে পুলিশের সংখ্যা আরও চার থেকে পাঁচ হাজার বাড়ানো প্রয়োজন। এই বিবেচনায় নগরীর সঙ্গে জেলার কিছু এলাকা যুক্ত করে নতুন চারটি থানা বাড়িয়ে সিএমপির আয়তন বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
জেলার অংশ সংযুক্ত করে প্রস্তাবিত নতুন চারটি থানা হলো হাটহাজারী থানাধীন ১৩ নম্বর দক্ষিণ মাদার্শা, ১৪ নম্বর শিকারপুর, ১৫ নম্বর বুড়িশ্চর ইউনিয়ন নিয়ে নতুন মদুনাঘাট থানা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড, ১১ নম্বর ফতেপুর ও ১২ নম্বর চিকনদন্ডী ইউনিয়ন নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থানা। সীতাকুণ্ড মডেল থানা এলাকার ৮ নম্বর সোনাছড়ি, ৯ নম্বর ভাটিয়ারী ও ১০ নম্বর সলিমপুর ইউনিয়নের আংশিক এলাকা নিয়ে ফৌজদারহাট থানা। পটিয়া থানাধীন ৪ নম্বর কোলাগাঁও, ৫ নম্বর হাবিলাসদ্বীপ, ৬ নম্বর কুসুমপুরা ও ৭ নম্বর জিরি ইউনিয়ন নিয়ে কালারপোল থানা।