প্রকাশ: বুধবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন
প্রথমবারের মতো লাল বানরের (রেসাস) ক্লোন তৈরি করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। এই প্রজাতির বানরের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ মানুষের মতোই। তাই এ ধরনের বানর চিকিৎসাক্ষেত্রে গবেষণার জন্য ব্যবহৃত হয়। খবর বিবিসির
গবেষণা ত্বরান্বিত করতেই বানানো হয়েছে লাল বানরের ক্লোন। এর মাধ্যমে ওষুধের পরীক্ষা-নিরীক্ষা আরও গতিশীল হবে। কারণ, জিনগত অভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রাণী চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণার ট্রায়ালে তুলনামূলক ফল দেয়, যা পরীক্ষণের নিশ্চয়তা বাড়ায়।
এর আগে রেসাস বানর ক্লোনিংয়ের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তাতে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। কারণ, এরা সন্তান জন্ম দিতে পারেনি কিংবা সন্তানরা কয়েকঘন্টার মধ্যেই মারা গিয়েছিল।
সবচেয়ে বিখ্যাত ক্লোন প্রাণী ডলি নামের ভেড়াটি ১৯৯৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা অন্য ভেড়া থেকে একটি কোষকে ভ্রূণে পরিণত করার জন্য পুনঃপ্রোগ্রাম করেছিলেন যা ব্লক কোষ তৈরি করেছে। এই কোষ প্রাণীর যে কোনো অংশে বৃদ্ধি পেতে পারে। এই ভ্রূণ পরে ডলির সারোগেট মায়ের কোষে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রেট্রো হল প্রাইমেটের দ্বিতীয় প্রজাতি যা বিজ্ঞানীরা সফলভাবে ক্লোন করতে সক্ষম হয়েছেন। এর আগে চীনা বিজ্ঞানীরা ২০১৮ সালে ক্লোনের মাধ্যমে জন্ম দেন বিশ্বের প্রথম বানরের। সেসময় ম্যাকক বানরের ক্লোন তৈরি করে চীনারা।