প্রকাশ: রোববার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪, ৪:১০ অপরাহ্ন
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল হামাস। ওই হামলার রেশ ধরে গাজায় অভিযানে নামে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হাজার হাজার সৈন্য। আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) গাজা অভিযানের শততম দিন।
প্রথম ছয় সপ্তাহ সংঘর্ষের পর গত ২৪ নভেম্বর উভয়পক্ষের সম্মতিতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরায়েল। প্রথমে ৪ দিন বিরতি দিয়ে বন্দী বিনিময় চুক্তি হলেও পরে তা দুই দফায় আরও ৩ দিন বাড়ানো হয়।
বন্দি বিনিময়ে মুক্তি পাওয়া ইসরাইলি জিম্মিদের চেয়ে তিনগুণ বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের কারাগার থেকে ছাড়া পায়। পরে যুদ্ধবিরতি শেষে ফের ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে বলছে, গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া দখলদার বাহিনীর হামলায় ১০০ দিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৩ হাজার ৮৪৩ জন ফিলিস্তিনি। যাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। আর এই সময়ে আহত হয়েছেন ৬০ হাজার ৩১৭ জন। পাশাপাশি নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি। ধারণা করা হয়, হামলার ঘটনায় তারা বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারেন।
যুদ্ধের শততম দিনে গাজার রাফাহ কুয়েতি হাসপাতালের চিকিৎসক সুহাইব আল-হামস সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ১০০ দিন কীভাবে কেটে গেল? গাজাবাসী এই সময়গুলো তিক্ততার সঙ্গে, শহীদদের সঙ্গে, আহতদের নিয়ে সময় পার করেছে। তারা বেদনা, নিষ্ঠুরতা এবং দুঃখের দৃশ্য নিয়ে পার করেছে।’ তার কথায়, ‘শুধু বাড়িঘরই নয়, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলেরও ধ্বংস প্রত্যক্ষ করেছি। ইসরায়েল বোমা হামলা করেছে হাসপাতাল, রাস্তা, মেডিকেল দল বা অ্যাম্বুলেন্স সবকিছুর ওপর। তারা কোনোকিছু বাদ দেয়নি।’
এদিকে, যুদ্ধের ১০০তম দিনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের অভিযান কেউ বন্ধ করতে পারবে না।’ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলকে বিজয় অর্জন থেকে কেউ বাধা দিতে পারবে না। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের যা করা প্রয়োজন, তা করবো।