প্রকাশ: রোববার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
উত্তরের জেলা দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আরও কয়েকদিন এমন তাপমাত্রা বিরাজ করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গতকাল শনিবারও ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
আগের দিন শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক শুন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বৃহস্পতিবার ছিল ১১ দশমিক শুন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বুধবার ছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত কয়েকদিন ধরেই এই জেলায় ঘন কুয়াশা পড়ছে। হিমেল বাতাস বইছে ঘণ্টায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার বেগ পর্যন্ত। তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
রোববার সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এর ফলে শীতের তীব্রতা এই এলাকায় একটু বেশিই রয়েছে। আর এই অবস্থায় খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘর ছেড়ে বাইরে বের হচ্ছেন না।
শীতের কারণে সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ঠিকভাবে কাজ করতে না পারায় তাদের আয় উপার্জনে ব্যাঘাত ঘটছে। আবার একটু কাজ করতেই নাজেহাল হয়ে পড়ছেন। শীত নিবারণের জন্য পুরাতন মোটা কাপড় (হকার্স মার্কেট) দোকানে ভিড় বাড়ছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, দিনাজপুর, রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁওয়ের ওপর দিয়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ। তাদের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে। এদিকে শীতের তীব্রতায় বাড়ছে মানুষের রোগ-বালাই। কনকনে বাতাসে চরম বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ মাসে আরও একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।