প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৪, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
সকল বাংলাদেশিদের ভবিষ্যত হুমকির মুখে উল্লেখ করে দেশের বর্তমান গতিপথ পরিবর্তন করে একটি সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভল্কার তুর্ক। সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাতে জেনেভায় জাতিসংঘ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্নবীকরণের বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার। তিনি ভোটের পরিবেশ নিয়েও সমালোচনা করেছেন। সেই সঙ্গে রোববার ভোটের দিন বিরোধী প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রতি সহিংসতা ও দমন–পীড়নের বিষয়টিও তুলে ধরেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার বলেন, ভোটের আগের মাসগুলোতে হাজার হাজার বিরোধী সমর্থককে নির্বিচারে আটক করা হয়েছে বা ভয় দেখানো হয়েছে। এই ধরনের কৌশল সত্যিকারের প্রকৃত প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক নয়। আমি সরকারকে অনুরোধ করছি, যেন সকল বাংলাদেশির মানবাধিকারের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে আমলে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে যাতে সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের ভিত্তিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছিল। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভোটের আগে গণগ্রেফতার, হুমকি, জোরপূর্বক গুম, ব্ল্যাকমেইলিং এবং নজরদারির মতো পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করেছে।
রাজনৈতিক সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাগুলো বিরোধী দলগুলো করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২৮ অক্টোবর থেকে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ প্রায় ২৫ হাজার বিরোধী সমর্থকরা গ্রেফতার হয়েছেন। গত দুই মাসে কমপক্ষে ১০ জন বিরোধী সমর্থক নিহত অথবা হেফাজতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আটক অবস্থায় সম্ভাব্য নির্যাতন বা কঠোর পরিবেশ নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার হাইকমিশনার।
প্রচুর মানবাধিকার কর্মীরা আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আর কিছু পালিয় গিয়েছেন ও ডজনখানেক গুম হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে নভেম্বর মাসে।
ভল্কার তুর্ক বলেন, এই ঘটনাগুলো অবশ্যই স্বাধীনভাবে তদন্ত করা উচিত এবং দায়ীদের অবশ্যই ন্যায্য ও স্বচ্ছ বিচারে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে প্রচারণা চালানোর সময় এবং নির্বাচনের দিনেও আইনের লঙ্ঘন ও অনিয়ম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং কার্যকরভাবে তদন্ত করতে হবে।