প্রকাশ: রোববার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৪, ৯:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: রোববার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৪, ৯:২০ অপরাহ্ন
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আজ রোববার ভোটগ্রহণ শেষে ঘোষিত ফলাফল থেকে জানা যায়, খাগড়াছড়িতে ৩ উপজেলার ১৯টি কেন্দ্রে ভোট দিতে যায়নি কোনো ভোটার। এর মধ্যে পানছড়ি উপজেলার ১১টি, লক্ষ্মীছড়িতে ৫টি এবং দীঘিনালায় ৩টি কেন্দ্র ভোটশূন্য ছিল।
পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকতা অঞ্জন দাশ জানান, লোগাং করল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিষ্টমনি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় পানছড়ি (উত্তর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধুদুকছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মরাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কোনো ভোটার ভোট দেয়নি ।
এছাড়া দক্ষিণ লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মাত্র ১ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন।
অন্যদিকে, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকতা সুলতানা রাজিয়া জানান, ভোটার কেন্দ্রে না আসায় বর্মাছড়ি ইউনিয়নে ৪টা ও লক্ষ্মীছড়ি সদর ইউনিয়নের ১টি কেন্দ্র ভোটশূন্য থাকে।
দীঘিনালার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ জানান, উপজেলার নুনছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জারুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বাঘাইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কোনো ভোটার ভোট দেয়নি। এসব কেন্দ্রের সবাই পাহাড়ি ভোটার।
১৯ কেন্দ্রে ভোটশূন্য হওয়ার ঘটনায় ইউপিডিএফের ভোট বর্জন কর্মসূচিকে দায়ী করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মুলেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘ইউপিডিএফ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল। তারা যেহেতু সশস্ত্র সংগঠন সেকারণে মানুষ তাদের ভয়ে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেনি। এ কারণে দুর্গম এলাকার কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে।’
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, ‘নির্বাচনের ওপরে মানুষের কোনো আস্থা নেই। তাই ভোটাররা ভোট না দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।’