প্রকাশ: বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২, ৮:৪১ অপরাহ্ন
আমাদের মুখমণ্ডলের চারপাশে দুই ডজনেরও বেশি পৃথক পেশি রয়েছে। তবে, পেশীগুলো শক্তিশালী কিংবা টোন করার জন্য জিমগুলোতে তেমন কোনো যন্ত্রপাতি পাওয়া যায় না। আবার অনেকে ঠিকমতো ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় পান না। ফলে বিভিন্ন অংশে ভাঁজ দেখা দেয় এবং বার্ধক্যের ছাপ পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে দ্য হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেউ যদি নিয়মিত ফেসিয়াল ইয়োগা করে থাকেন, তাহলে তার ত্বকে রক্তসঞ্চালন নিয়মিত হবে ও ত্বক থাকবে সজীব ও প্রাণবন্ত। বয়স বাড়ার সঙ্গে ত্বকে যে ভাঁজ পড়ে এই ইয়োগাগুলোর মাধ্যমে সেগুলো অনেকটা দূর করা যায়। তার কারণ, ব্যায়ামের মাধ্যমে মুখমণ্ডলের বিভিন্ন অংশের রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং মাংশপেশিতে নিয়মিত এই ম্যাসাজ করলে চোখের আশেপাশের অংশ কিংবা ঠোঁটের চারপাশের ভাঁজগুলো আস্তে আস্তে কমে যায়। প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট মুখমণ্ডলের যোগ ব্যায়াম করতে পারলেই অনেক ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
গবেষণায় পাওয়া বিভিন্ন ব্যায়ামগুলো থেকে সবচেয়ে কার্যকরী বিষয়গুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো-
চিক লিফট
হাতের ২ আঙুল আপনার গালের দুপাশে রাখুন। এরপর আলতো করে আঙুলের সাহায্যে গাল সামান্য ওপরের দিকে উঠান। এর পরে মুখ খুলে ইংরেজি অক্ষর 'ও' এর শেপ করে রাখুন। ১০ সেকেন্ড রাখার পর আবারও একইভাবে এই ব্যায়াম করুন। তখনই দেখবেন আপনার গালে একটা চাপ পড়ছে। এই চাপের সাহায্যেই আপনার গাল আর নিচের দিকে আসবে না।
চিক স্কালপ্টিং
মুখ না খুলে অর্থাৎ দাঁত না দেখিয়ে ঠোঁটকে গালের দিকে শক্তি প্রয়োগ করুন হাসি দিয়ে। এরপরে ঠোঁটের দুপাশ দিয়ে সেই দুই অংশ গালের মাংশপেশী পর্যন্ত টেনে ধরুন। এভাবেই ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখুন। পর পর কয়েকবার করুন।
লায়ন পোজে
প্রথমে কোনো স্থানে আরামদায়কভাবে বসুন। এরপর আপনার হাত সামনের দিকে এনে ফ্লোরের সঙ্গে লাগিয়ে স্ট্রেচ করুন। ফেস নিচের দিকেই রাখুন। একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিন এবং নিঃশ্বাস বের করার সময় সিংহের মতো গর্জন করুন।
কয়েকটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, কোনো ব্যায়ামের মতোই ফেসিয়াল ইয়োগারও নিয়মিত চর্চা খুবই জরুরি। প্রয়োজন হলে আপনি কম সময় করতে পারেন কিন্তু আপনাকে প্রতিদিন এই ফেসিয়াল ইয়োগা চর্চা করতে হবে। প্রথমে ৩টি দিয়ে শুরু করতে পারেন। পরে চাইলে আরও বেশি সময় নিয়ে এই ব্যায়াম চর্চা করেতে পারবেন। কোনো কিছুই কম সময়ে দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল পাওয়া যায় না। তাই ধৈর্য সহকারে চর্চা করলে আপনি অবশ্যই ভালো ফলাফল পাবেন।
-জ/আ