প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ন

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর নির্যাতনে ওয়াসিম (২৪) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। হত্যার পর তার লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
আজ শুক্রবার দুপুরে নদীতে ভেসে ওঠে লাশটি।
নিহত ওয়াসিম মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের বুনোপাড়ার রমজান আলীর ছেলে। প্রথম থেকেই পরিবারের সন্দেহ ছিলো যে নদীতে ভেসে ওঠা লাশটি ওয়াসিমের হতে পারে।
বাঘাডাঙ্গা ইউপি সদস্য ওবায়দুল ইসলাম জানান, হুদাপাড়া গ্রামের এক কৃষক দুপুরে মাঠে যাওয়ার সময় নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে যায় এবং বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
তবে নদীর ভারতীয় অংশে লাশ থাকায় রাত ৯টা পর্যন্ত পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, ওয়াসিম ধূড় (তামাকজাত দ্রব্য) পাচারের সময় ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন মহেশপুরের সলেমানপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান, কাঞ্চনপুর গ্রামের রাজু, শাবুদ্দিন, মানিক ও বাঘাডাঙ্গার আব্দুল ওয়াহেদ। তারা সবাই লাশটি ওয়াসিমের বলে নিশ্চিত করেন।
ওয়াসিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান বলেন, "ওয়াসিম ৩-৪ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। শুনেছি মাঝেমধ্যে সে ভারতে যেত। ৮ এপ্রিল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গিয়েছিল। ফেরার সময় বিএসএফ তাকে আটক করে। আমরা জানতে পেরেছি, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।"
ওয়াসিমের বাবা রমজান আলী জানান, বিভিন্ন সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন এটি তার ছেলের লাশ। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত লাশ উদ্ধারের দাবি জানান।
৫৮ বিজিবি খালিশপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম জানান, "লাশটি নদীর ভারতীয় অংশে থাকায় আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। বিষয়টি বিএসএফকে জানানো হয়েছে। এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি লাশটি বাংলাদেশি না ভারতীয়।"
মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, "বিজিবি বিষয়টি দেখছে। বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"