প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:০৮ অপরাহ্ন

গত বছরের শেষ দিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সাবিনা খাতুনরা। তবে সম্প্রতি ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারে অধীনে অনুশীলন না করা এবং এই কোচকে বহাল রাখলে ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নারী ফুটবলাররা। যা নিয়ে রীতিমতো তালমাতাল অবস্থা দেশের ফুটবলেরও। তবে এই বিদ্রোহের মাঝেও সুখবর পেয়েছে সাফজয়ী ফুটবলাররা।
সাফ জয়ী নারী ফুটবল দলকে একুশে পদক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তারা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশের ১৪ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
গত ৩০ অক্টোবর কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এর আগে ২০২২ সালে এই নেপালকেই ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।
মেয়েদের এই সফল্যে পুরো দেশ আনন্দে মেতে উঠেছিল। গতবারের মতো এবারও তাদের ছাদখোলা বাসে অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং অসংখ্য পুরস্কারও পান তারা। ক্রীড়া পরিষদ, বাফুফে, বিসিবি ও অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন থেকে বিপুল পরিমান অর্থ পুরস্কার হিসেবে পান লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
কিন্তু সাফের আনন্দ কমে যায় কোচের সঙ্গে খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্বের কারণে। এর জেরে এমনকি গণ-অবসরের হুমকিও দেন সাবিনারা। এ নিয়ে একটি বাফুফেকে চিঠি দিলে সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। বাফুফে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বাফুফে।
এসব প্রতিকুল অবস্থার মধ্যে একুশে পদ পাওয়াটা নারী ফুটবলারদের মানসিকভাবে কিছুটা শক্তি যোগাবে। সেই সঙ্গে দেশের প্রতি নিজেদের সেরা দিতে মুখিয়ে থাকবে সাবিনা-মারিয়ারা।
একুশে পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা হলেন: চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), সংগীতে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) ও ফেরদৌস আরা, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন, চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা, সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর), সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় শহীদুল আলম, শিক্ষায় নিয়াজ জামান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহেদী হাসান খান, সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর), ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির (মরণোত্তর) এবং গবেষণায় মঈনুল হাসান।