প্রকাশ: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:২৯ অপরাহ্ন

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তারাসীমা অ্যাপারেলস লিমিটেড ও পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের রাস্তা বন্ধ করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে কয়েক টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের দূর্ভোগ পহাতে হচ্ছে । আন্দোলন করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের নয়াডিঙ্গীতে তারাসীমা অ্যাপারেলস লিমিটেড ও পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের কোম্পানির মালিক পক্ষের সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রভাবশালীদের দালাল চক্রের যোগসাজশে জায়গা ক্রয় করে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে। আশে পাশের তিনটি গ্রামের মানুষকে হয়রানি করছেন। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার মানুষের। স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
গোলড়া মধ্য পাড়ার গ্রামের রুপা আক্তার বলেন, "দুই কোম্পানির মধ্যে দিয়ে পুরাতন একটি রাস্তা ছিলো। রাস্তাটা কোম্পানির মালিক পক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আমাদের চলাচল করতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। এই রাস্তার জন্য আমরা আন্দোলন করেছি। আন্দোলনের দিন আমি পরে গিয়ে অনেক ব্যাথা পেয়েছি। আমাদের রাস্তাটা খুব প্রয়োজন।"
মধ্য গোলড়া গ্রামের রাবেয়া বেগম বলেন," আমার মেয়ে গর্ভবতী ছিলেন সময় মতো হাসপাতালে নিতে পারিনি বলে আমার মেয়ের ছেলেটাকে বাঁচাতে পারি নাই। আমি চাই এখানে দিয়ে আবার রাস্তাটা হোক । আমার মেয়ের মতো যেন আর কারো জীবনে এমনটা না হয়।"
উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি তিন গ্রামের শত শত মানুষ রাস্তার দাবিতে ঢাকা -আরিচা মহাসড়কে সকাল সোয়া ১১টা থেকে অবস্থান নেয় এতে মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় প্রশাসন ও কোম্পানির মালিক পক্ষ রাস্তা দেওয়ার আশ্বাস দিলে দীর্ঘ ৫ ঘন্টা পর বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মহাসড়ক থেকে অবরোধ স্থগিত করে এলাকাবাসী।
ধানকোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হক বলেন,আমরা সব সময় মানুষের উপকার করেছি। আমার কোন কোম্পানির সাথে কোন রকম সম্পর্ক ছিলো না ।
তারাসীমা অ্যাপারেলস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার আজমল হুদা বলেন, এখান দিয়ে কোন রাস্তা ছিলো না। এলাকাবাসী রাস্তার দাবি নিয়ে আমাদের কাছে আসে নাই। এলাকাবাসীর দাবির বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।
পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকায় কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকা- আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করার পর কোম্পানির মালিক পক্ষ ও এলাকাবাসী বসেছিলেন। কোম্পানির লোক রাস্তা দেওয়ার কথা। এর পরেও যদি কোন রকম ব্যবস্থা না করে তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।