প্রকাশ: বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:৫৯ অপরাহ্ন
ঈমানদারের প্রতিটি কাজ নবীজির সুন্নত অনুযায়ী পরিচালনা করা আবশ্যক। তিনিই মুমিনের উত্তম আদর্শ। দাম্পত্য জীবনে নবীজির যেসব আদর্শ রয়েছে, মুমিন বান্দার উচিত দাম্পত্য জীবনেও সে সুন্নাতগুলো আঁকড়ে ধরা। এতে নবীজির সুন্নত আদায় হবে পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা বাড়বে; যা সুখী পরিবার গঠনে অন্যতম সহায়ক।
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন, তুমি যে কোনো খরচে যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করো তাহলে তাতে তোমাকে তার নেকি দেয়া হবে, এমন কি যা তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দেবে তাতেও নেকি রয়েছে। (বুখারি ১২৯৫)
দূরের সফরে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। বিভিন্ন সফরে তিনি স্ত্রীদের মধ্য থেকে একজনকে সঙ্গে নিতেন।
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ষষ্ঠ হিজরিতে বনি মুস্তালিক মতান্তরে মুরাইসি যুদ্ধে স্ত্রীদের মধ্য থেকে হজরত আয়েশা (রা.)-কে সঙ্গে নিয়ে যান। এ যুদ্ধের আগে পর্দার বিধান নাজিল হয়েছিল। হজরত আয়েশাকে উটের পিঠে পালকির ওপর বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই যুদ্ধে হজরত আয়েশা (রা.)-কে অপবাদও দেয়া হয়েছিল, যার প্রতিবাদে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে আয়াতও নাজিল করেছেন। (বুখারি)
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে সঙ্গে স্ত্রীদের কে যাবেন, তা নিজের ইচ্ছেমতো ঠিক করতেন না। স্ত্রীদের মধ্যে লটারির আয়োজন করতেন। লটারিতে যার নাম আসত, তিনিই হতেন রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সফরসঙ্গী। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, তিনি বলেন,
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরের ইচ্ছে করলে স্ত্রীদের মধ্যে লটারির ব্যবস্থা করতেন। যার নাম আসত, তাকে নিয়েই সফরে বের হতেন তিনি। এ ছাড়া (রাত যাপনের ক্ষেত্রেও) প্রত্যেক স্ত্রীর জন্য এক দিন এক রাত নির্দিষ্ট করে দিতেন।’ (বুখারি)