সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে আবার পথে নামলেন তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাকর্মীরা। পুলিশের নিষেধাঙ্গা উপেক্ষা করে শুক্রবার থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছে রাজধানী ইসলামাবাদসহ দেশের বিভিন্ন শহরে।
১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ইসলামাবাদের ডি-চকে বিক্ষোভ করায় অপরাধ হয়েছে, এই অভিযোগে পিটিআইয়ের শীর্ষনেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ এং সন্ত্রাসবাদের মামলা করেছে পুলিশ। এতে অন্তত ৩০০ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
মামলার এজাহারে পিটিআইয়ের শীর্ষনেতাদের মধ্যে রয়েছেন হাম্মাদ আজহার, সালমান আকরাম রাজা, গোলাম মহিউদ্দিন, এমপিএ শেহবাজ, মুসাররাত জামশেদ চিমা, শেখ ইমতিয়াজ, আলী ইমতিয়াজ এবং শাব্বির গুজর।
পুলিশ দাবি করেছে, কারাগার থেকে ইমরান খান নেতাকর্মীদের ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে প্ররোচিত করেছেন। ফলে এসব নেতাকর্মীরা পিটিআই কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেন এবং ভাঙচুরে লিপ্ত হন।
এনিয়ে মিল্লাত পার্ক পুলিশ স্টেশন, নাসিরাবাদ পুলিশ স্টেশনসহ কয়েকটি থানায় পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ এং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে খাইবার-পাখতুনখাওয়ার প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা ইমরানের ঘনিষ্ঠ পিটিআই নেতা আলি আমিন গান্দারপুরকে পাক রেঞ্জার্স আটক করেছে বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তা এখনো সরকার স্বীকার করেনি।
ইমরান মুক্তির আন্দোলনে গান্ডারপুরের নেতৃত্বে ভয় পাচ্ছে শেহবাজ শরিফ সরকার। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা দিয়ে শক্ত হাতে বিক্ষোভ দমনে বল প্রয়োগ করছে ক্ষমতাসীন দল। পিটিআই বিক্ষোভের ঘোষণা দিলে সরকারের পক্ষ থেকে শহরগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হচ্ছে।
এদিকে পিটিআইয়ের রাজনৈতিক কমিটি বলছে, গান্দারপুর গ্রেপ্তার হলে পিটিআইয়ের আরেক নেতা আজত সোয়াতি বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেবেন। তিনি গ্রেপ্তার হলে নতুন আরেকজনের নাম ঘোষণা করা হবে।।
গত বছর থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি রয়েছেন ইমরান খান। সাম্প্রতিক সময়ে তার মুক্তির দাবিতে জোরালো বিক্ষোভ হচ্ছে পাকিস্তানে। তোশাখানা, ‘রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস’-সহ একাধিক মামলায় জামিন পেলেও এখনও মুক্তি পাননি ইমরান খান।