প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৪৩ অপরাহ্ন
আসন্ন দূর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও জনমনে আস্থা মনোবল বৃদ্ধিতে নিয়মিত টহল পরিচালনা করছে নীলডুমুর ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। আগামী ৮ থেকে ১৩ অক্টোবর সনাতন ধর্মের পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সেই লক্ষ্যে পূজা গত ২ অক্টোবর সকাল ৮ ঘটিকা হতে পূজা মন্ডপ সমূহে টহল কার্যক্রম আরম্ভ করে বিজিবি। ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার ৮ কিলো মিটারের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটায় ১৫টি, কালিগঞ্জের ১৬টি ও শ্যামনগর উপজেলায় ৮টি পূজা মন্ডপ রয়েছে। সর্বমোট সীমান্ত এলাকায় ৩৯টি পূজামন্ডপ রয়েছে।
উক্ত এলাকায় কর্তব্যরত বিজিবি টহলদলকে ২টি টাক্সফোর্সে বিভক্ত করে ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য দ্বারা ৮টি সেকশনে ভাগ করেছে বিজিবি। সেই মোতাবেক পূজামন্ডপ ও এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং জনমনে আস্থা, মনোবল বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত টহল পরিচালনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এছাড়াও পূজা মন্ডপের সভাপতি, কমিটির সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক নেতা কর্মী, চেয়ারম্যান, মেম্বার, ইমাম এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে প্রয়োজনীয় মত বিনিময় করছেন বিজিবি সদস্যরা। বেইজ ক্যাম্প হতে পূজামন্ডপ সমূহে ৩০ মিনিটে পৌঁছানোর বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। যে সকল পূজামন্ডপে পৌঁছাতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় প্রয়োজন হবে সে সকল পূজামন্ডপের নিকটবর্তী স্থানে বেইজ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। দায়িত্বপূর্ণ এলাকার পূজামন্ডপ এলাকায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ, পূজা কমিটির সাথে যোগাযোগ করত টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বিজিবি সদর দফতরের নির্দেশন মোতাবেক ১৭ ব্যাটালিয়নের অধীনে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। দুর্গাপূজা ঘিরে অস্থিতিশীলতার শঙ্কা থাকলেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মহোদয়ের নির্দেশ মোতাবেক দেশের সকল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যাতে কেউ অবৈধ ভাবে অতিক্রম করতে না পারে সেজন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি। এই বাহিনী একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, অত্যাধুনিক ত্রিমাত্রিক সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বিজিবি আজ একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে জল, স্থল ও আকাশপথে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম। সে কারণে দুর্গাপূজাকে ঘিরে অবৈধ পারাপার কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাজ করবে বিজিবি সদস্যরা।