মেক্সিকোর হুইক্সটলা শহরে একটি ট্রাকে সেনাবাহিনী গুলি চালালে ছয়জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। ওই ট্রাকে ৩৩ জন অভিবাসী ছিলেন। এই অভিবাসীরা মিসর, নেপাল, কিউবা, পাকিস্তান ও ভারত থেকে গিয়েছিলেন।
মেক্সিকোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ট্রাকটি একটি সামরিক প্রহরা বলয়কে এড়িয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। তখন সেনারা গুলি চালায়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নিতে তারা বদ্ধপরিকর। আইন ভাঙলে তারা কাউকে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়। যারা মারা গেছেন তারা কোন দেশের মানুষ তা এখনও জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, অভিবাসীদের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। তাই আইনি পথে অভিবাসনের আবেদন করা উচিত। আইনি পথে যাতায়াত করা উচিত। তাহলে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যাবে।
হুইক্সটলা শহর দিয়ে অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যেতে পছন্দ করে। কারণ, এই রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা খুব বেশি থাকে। তার মধ্যে অভিবাসীদের গাড়ি চিহ্নিত করে ধরা সহজ নয়। ওখানকার অপরাধী গোষ্ঠীগুলো যে ধরনের গাড়ি ব্যবহার করে, সেরকমই দুটি গাড়ি ট্রাকের পিছনে ছিল।
সেনাদের দাবি, তারা বিস্ফোরণের শব্দ পায়, তাই তারা গুলি চালিয়েছিল। ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে দুজনের মৃত্যু হয়।
মেক্সিকোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যে দুজন সেনা গুলি চালিয়েছিল, তাদের ওই শিবির থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের সামরিক আদালতে বিচার হতে পারে।
২০২১ সালে মেক্সিকোর ন্যাশনাল গার্ড একই শহরে গুলি চালিয়েছিল এবং তাতে একজন অভিবাসীর মৃত্যু হয়।
সীমান্তে যাতে বেশি অভিবাসী না আসে, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকোকে প্রবল চাপ দেয়। অভিবাসীরা মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার চেষ্টা করে। তারা মূলত আর্থিক দুরবস্থা ও সহিংসতার হাত থেকে বাঁচার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চায়। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এখন সেখানে অভিবাসীদের প্রবেশের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।