মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

চলতি মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু দেড়শ ছাড়িয়েছে    অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল    অবিলম্বে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি চাইলেন ফরহাদ মজহার    সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে : শীর্ষ নির্বাহীদের প্রধান উপদেষ্টা    সমগ্র বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দৃষ্টিনন্দন ১০ মসজিদ    ধৈর্য্য ধরুন, উসকানিতে সাড়া দেবেন না: উপদেষ্টা আসিফ    অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা : নিহত ৭   
বেসামরিক জনগনের ওপর হত্যা-নির্যাতন বাড়িয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:২৬ অপরাহ্ন

বিরুদ্ধমত দমনে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বেসামরিক লোকদের হত্যা ও নির্যাতন বাড়িয়ে দিয়েছে। তিন বছর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করেছে তারা। সম্প্রতি জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে লাখো জনতা। শুরু হয় রক্তাক্ত সহিংসতা। বিক্ষোভ ধীরে ধীরে রূপ নেয় সশস্ত্র বিদ্রোহে। আজও দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে চলছে তীব্র লড়াই।

গতকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্কের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হাতে ৫ হাজার ৩৫০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

তদন্তকারীরা দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি না পাওয়ায় দূর থেকেই শত শত ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২ হাজার ৪১৪ জন মারা গেছেন ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে, যা আগের প্রতিবেদনকালীন সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। এই সময়ে বিমান ও কামান হামলায় শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মিয়ানমার টিমের প্রধান জেমস রোডেহেভার বলেছেন, মিয়ানমারে মানবাধিকার অতল গহ্বরে পতিত হচ্ছে।

জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আইনি ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে গভীর সংকট তৈরি করেছে। তাদের দেশ শাসনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রায় সব ধরনের ভিন্নমতকে অপরাধীকরণ করা হয়েছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে প্রায় ২৭ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে মনে করা হয়।

এসব বন্দির মধ্যে এমন শিশুও রয়েছে, যাদের বাবা-মাকে খুঁজে না পাওয়ায় ‘রাজনৈতিক বিরোধিতার শাস্তি হিসেবে’ ওইসব শিশুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে ৮৮ শিশুসহ অন্তত ১ হাজার ৮৫৩ জন হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। এদের মধ্যে অনেকে অপমানজনক জিজ্ঞাসাবাদ, আটকে রাখা বা পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ার পর মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি মিয়ানমার সামরিক বাহিনী।

মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক। ২০১৭ সালে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস দমন-পীড়নের জন্য দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলা চলছে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  আন্তর্জাতিক   মিয়ানমার   হত্যা  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft