প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৩৬ অপরাহ্ন
বরগুনার বামনা উপজেলা সদরের সাহেব বাড়ি বাজারে খাস খতিয়ানের জমি দখল করে আ: খালেক নামের এক কাপড় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বালু ভরাট করে পাকাস্থাপনা নির্মানের অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহা: আল ইমরানকে ম্যানেজ করেই এ সরকারী জমি দখল করছে আ: খালেক।
সরেজমিনে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে জমি দখলকারী আ: খালেক সটকে পরেন। রবিবার সকালে উপজেলা সদরের সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের উত্তর পাশে বাজারের প্রধান সড়কে এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বামনার ১২১৫ নাম্বার খতিয়ানের সম্পত্তি এটি। যাকে সরকারি ভাবে এক নাম্বার খাস খতিয়ান বলা হয়ে থাকে। বর্তমান ইউএনওর ও আগের ইউএনও এই জমিটি মেপে লাল নিশান দিয়ে চিহ্নিত করে রেখেছিলো, যাতে করে নুতন করে কেহ যেন দখল করতে না পারেন। কিন্তু বর্তমান ইউএনও আল ইমরান নিজেই নাকি তাকে ইমারত নির্মাণ করতে বলেছে। সরকারি জমি কিভাবে বন্দোবস্ত ছাড়াই একজনকে ইমারত নির্দেশ দেয় এটা তাদের বোধগম্যে নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, এ সরকারি জমিতে আগে যারা ঘর উঠিয়েছে তারা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ম্যানেজ করে মোটা অংকের চাঁদার বিনিময়ে দোকান ঘর নির্মান করেছেন। তাছাড়া এখানে অনেকেই দখল পজিশন কিনেছেন ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা দিয়ে। তেমনি জমি দখলদার খালেক হাওলাদারও ৯ লাখ টাকা দিয়ে এই সরকারি জমি দখল কিনেছেন। আ: খালেকও আওয়ামী লীগের আমলে এ জমি টুকরো কিনেছে কিন্তু তখন সবাইকে ম্যানেজ করতে পারেনি বিধায় দোকান ঘর নির্মান করতে পারেনি। বর্তমানে বিএনপি নেতাদের টাকা দিয়ে এই ঘর উঠাইতেছে বলেও তিনি জানান।
স্থানীয়রা বলছেন ইউএনওকেও টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে হয়েছে।
এ খাস খতিয়ানের জমি দখলকারি অভিযুক্ত আ: খালেক খানের ভাতিজা বলেন, কাঁচা বাজারের সামনের সড়কটি আমার খালু নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে এ ঘর তুলতে বলেছে ইউএনও স্যার। তাই আমার খালু খালেক খান রাস্তা করে দিয়ে ঘরটিও তৈরি করছেন।
এ বিষয়ে বামনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহা: আল ইমরান বলেন, বামনা উপজেলা সদরে নির্দিষ্ট কোন কাঁচাবাজার না থাকায় এ জমবতে একটি কাঁচা বাজার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। সেই কাঁচা বাজারের রাস্তা নির্মাণের জন্য আ: খালেক খান দোকানদারকে সেখান থেকে একটি রাস্তা নির্মান করতে বলেছি। যেহেতু সে অনেকদিন ধরে, সরকারি জমি ভোগদখল করছিল সেই সুবাদে তার নিজ খরচে রাস্তা তৈরি করতে বলেছি। ইমারত নির্মাণের বিষয় তিনি বলেন, আমি তাকে ইমারত নির্মাণ করতে নিষেধ করেছি।