প্রকাশ: শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৪, ৫:৪৩ অপরাহ্ন
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স গতকাল বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে ছাত্র গণ অভ্যূত্থানে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহতদের কবর জিয়ারত ও তাদের পরিবারের সাথে সাক্ষাত করেন। তিনি জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বনগ্রামে শহীদ আরাফাত মুন্সি (ছাত্র), বাসুদেবপুরে শহীদ সাবিদ হোসেন (ছাত্র), গঙ্গারামপুরে শহীদ বাবু মোল্লার (ভ্যানচালক) কবর জিয়ারত, পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। তিনি শহীদদের পরিবারের সাথে সাক্ষাত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাদেরকে সমবেদনা জ্ঞাপন ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মুকসুদপুর উপজেলার বরইতলা বাসস্ট্যান্ড, বনগ্রাম, উজানী বাসুদেবপুর ও ডিগ্রীকান্দিতে স্বতঃস্ফুর্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্সের সাথে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম,জেলা বিএনপির আহবায়ক রাফিক শরীফ,সদস্য কেএম বাবর,জেলা বিএনপি নেতা মাহবুব আলী সোহেল,জেলা যুবদল সাধারন সম্পাদক রাসেকুজ্জামান পলাশ, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান ইভান আলী প্রমুখ।
সমাবেশে যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ছাত্র গণ আন্দোলনে গণহত্যা চালিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। গণ হত্যার দায়ে অবশ্যই শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার হবে। নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে, দুর্ণীতি লুটপাট করে শেখ হাসিনা শুধু গোপালগঞ্জ নয়, সমগ্র বাংলাদেশের কলংকে পরিণত হয়েছেন। তার সমগ্র শাষনামল ছিলো কলঙ্কজনক অধ্যায়।
তিনি বলেন, হাসিনা ভারতে পালিয়ে থেকে ভারতের সরকারকে বাংলদেশের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আকস্মিক ভয়াবহ বন্যার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ভারতের ডম্বুর এবং গজলডোবা বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গেছে। ভয়াবহ এই মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেও ভারত নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছে। ভারতীয় মিডিয়ার ভারতের বাধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশে বন্যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেও ভারত সরকার তা অস্বীকার করছে।